সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর (Laxmi Puja) দিনই উদ্ধার হল নিখোঁজ পুরোহিতের দেহ। পরিবারের দাবি, খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানার সপা রায়পুরের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। দুই যুবককেই সন্দেহের তালিকায় রেখেছেন পরিজনেরা। তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে নোদাখালি থানার পুলিশ।
নিহত বছর চল্লিশের অশোক চট্টোপাধ্যায় মূলত পূজার্চনা করেই দিন কাটান। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ মহেশতলার রায়পুরের বাড়ি থেকে সাইকেল চড়ে বেরিয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো করার জন্য অনেক জায়গা থেকে ডাক পেয়েছিলেন। একসঙ্গে অতগুলো পুজো একা করা সম্ভব নয় তাই কয়েকজন পুরোহিতের (Priest) খোঁজেই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। উদ্বিগ্ন পরিবারের সদস্যরা চারদিকে খোঁজাখুঁজি করেন। তবে তাঁর হদিশ পাননি। এদিকে, শুক্রবার সকালে নোদাখালি থানার বাওয়ালিতে রাস্তার ধারে একটি অর্কিড নার্সারির সামনে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দেহের পাশেই পড়েছিল একটি সাইকেলও। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান।
মৃত ব্যক্তির পকেটে ছিল মোবাইল। ওই মোবাইলেই সেভ করে রাখা পরিচিত ব্যক্তির নম্বরে ফোন করে পুলিশ। খবর দেওয়া হয় বাড়িতে। পরিবারের অভিযোগ, পুরোহিতের খোঁজে কখনই অত দূরে নিজে যাননি অশোক। কেউ চক্রান্ত করে তাঁকে সেখানে নিয়ে গিয়ে বিষ খাইয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ। এদিকে বৃহস্পতিবার থেকে বেশ কয়েকবার দুই যুবক ওই পুরোহিতকে তাঁর বাড়িতে খুঁজতে আসায় স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। স্রেফ সন্দেহবশতই তাঁরা ওই দু’জনের উপর চড়াও হয়। স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা যুবকদের উদ্ধার করে ক্লাব ঘরে আটকে রাখেন। পুলিশ আটক করে তাদের মহেশতলা থানায় নিয়ে যায়। সেখানে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদও হয়। পুরোহিতের রহস্যমৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নোদাখালি থানার পুলিশও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.