অর্ণব দাস, বারাকপুর: ধরপাকড়ের মাঝেই ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় নয়া মোড়। তৃণমূল কর্মীর ‘ঘনিষ্ঠে’র রহস্যমৃত্যু। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বছর বাইশের ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। একটি সুইসাইড নোটও পেয়েছে পুলিশ। সেটির সূত্র ধরে শুরু তদন্ত।
মৃত বছর বাইশের হরেরাম সাউ। তিনি নিহত তৃণমূল কর্মী ভিকির ‘ঘনিষ্ঠ’ ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিকির খুনের ঘটনার পর বারবার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল ওই হরেরামকে। একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, “আমি ভিকি যাদব খুনের ব্যাপারে কিছুই জানি না। তোমাদের যদি মনে হয় আমি ভিকির খুনে যুক্ত তো ঠিক আছে, আমি ভিকি ভাইয়ার কাছেই যাচ্ছি। এই ঘটনার সঙ্গে আমি এবং আমার পরিবারের কেউই যুক্ত নয়। আমি তোমাকে মিস করছি ভিকি ভাইয়া। আমি আকাশ ভাইয়াকেও মিস করছি। আমিও তোমাদের কাছেই যাচ্ছি। ছোটু আমাকে তুই ভুল বুঝিস না। ছোটু আমার মাকে দেখিস।” সুইসাইড নোটের হাতের লেখা এবং বয়ান যাচাই করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় জগদ্দল থানার ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে পুরানি তালাব সংলগ্ন এলাকায় শুটআউটের ঘটনা ঘটে। নিজের বাড়ির সামনেই ঝাঁজরা হয়ে যান তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব। এই ঘটনার তদন্তে বারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (নর্থ) শ্রীহরি পাণ্ডের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম তৈরি করা হয়। একাধিক এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ।
তদন্তকারীরা জানতে পারেন, চারজন ভাড়াটে খুনি এসেছিল। তারা প্রথমে মেঘনা মিল সংলগ্ন একটি ফাঁকা কোয়ার্টারে এসে ওঠে। সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর তাদের মধ্যে তিনজন বাইকে করে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভিকিকে খুন করে। দুজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই খুনের ঘটনায় সেভেন এমএম এবং নাইন এমএম দুই ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল বলেও জানতে পারে পুলিশ। ধরপাকড়ের মাঝে হরেরাম সাউয়ের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.