সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিশ্রুতি ছিল হাজার। কিন্তু পূরণ হয়নি একচুলও। তাই দাবিও বিবিধ। আর সেসব আদায়ের জন্য আন্দোলনের চেয়ে বড় রাস্তা আর কী-ই বা হতে পারে? উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিকরাও (Tea Garden Labourers) সেই আন্দোলনের পথে হাঁটছেন কেন্দ্রীয় বঞ্চনার দাবিতে। বাকি তাঁদের প্রভিডেন্ট ফান্ড, চা বাগানের উন্নয়নে ১০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা সত্ত্বেও কোনও উন্নয়ন হয়নি – এমনই একাধিক অভিযোগ তুলে শনিবার দিনভর উত্তরবঙ্গের নানা জায়গায় অবস্থান বিক্ষোভে (Sit in Protest) শামিল হন চা শ্রমিকরা।
বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়কদের (BJP MLA) বাড়ির সামনে এই অবস্থান বিক্ষোভের কর্মসূচি নিয়েছেন চা বলয়ের শ্রমিকরা। শনিবার ফাঁসিদেওয়া, মাদারিহাট, কালচিনি, নকশালবাড়ি-মাটিগাড়ার বিজেপি বিধায়কদের বাসভবনের সামনে তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। কালচিনির বিধায়ক বিশাল লামার বাড়ির সামনেও বিশাল জমায়েত হয় চা শ্রমিকদের। কুমারগ্রামের বিধায়ক মনোজ কুমার ওরাঁওয়ের বাড়ির সামনেও একই পরিস্থিতি। সকলের হাতে হোর্ডিং, প্ল্যাকার্ড। তাতে নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন তাঁরা। দিনভর তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC’র তত্বাবধানে চলে অবস্থান বিক্ষোভ।
তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের তরফে এই কর্মসূচি পূর্বপরিকল্পিতই ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কর্মসূচির কথা জানানো হয়। তাতেও উল্লেখ করা ছিল বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রের বঞ্চনার কথা। বকেয়া পিএফ, স্কলারশিপ, ৬০ বছরে অবসর, চা বাগানের অনুন্নয়নের মতো গুরুতর বিষয়ের বিরোধিতাতেই তাঁদের এই আন্দোলন।
প্রসঙ্গত, চা বাগানগুলি কেন্দ্রের অধীনস্ত। রুগ্ন বাগানগুলির অবস্থা ফেরানো কিংবা চা শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষার মতো বহু প্রতিশ্রুতিই ভোটের আগে দিয়েছিলেন কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দলের প্রতিনিধিরা। কিন্তু পরিস্থিতির কোনও বদল হয়নি। উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ জনপ্রতিনিধি বিজেপির হওয়া সত্ত্বেও সুদিন ফেরেনি। আর দিনের পর দিন অপেক্ষার পর শ্রমিকদের ক্ষতয় প্রলেপ না পড়ায় এবার জোরদার আন্দোলন শুরু করেছেন শ্রমিকরা। তাঁদের পূর্ণ সমর্থন করছে শাসকদল তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.