প্রতীকী ছবি।
শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: এক স্কুল শিক্ষকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। দু’দিন অজ্ঞাতবাসে থাকার পর তিনি বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। তারপরের দিনই নিজের ঘর থেকে উদ্ধার হল ওই ব্যক্তির গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত মৃতদেহ। খুন নাকি আত্মহত্যা? সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃত ব্যক্তির নাম পঙ্কজকুমার দাস (৫২)। কালিয়াগঞ্জ শহরের স্কুলপাড়া এলাকায় তাঁর বাড়ি। কালিয়াগঞ্জের লক্ষ্মীপুর মোহিমচন্দ্র হাই স্কুলের ইতিহাস বিভাগের সহ-শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন। মৃত শিক্ষকের স্ত্রী বাসবী চৌধুরী কালিয়াগঞ্জের মনমোহনী গার্লস হাই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের সহ-শিক্ষিকা পদে কর্মরত। তাঁদের একমাত্র পুত্র রায়গঞ্জের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পড়ুয়া।
জানা গিয়েছে, রবিবার স্কুলের পরে পঙ্কজকুমার দাসকে আর দেখা যায়নি। সোম ও মঙ্গলবার তিনি অজ্ঞাতবাসে ছিলেন। বুধবার তিনি বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার শিবরাত্রির পরের দিন স্কুল ছুটি ছিল। এদিন দুপুরে তাঁর নিজের ঘর থেকে উদ্ধার হল গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত দেহ। সেসময় কেউ বাড়িতে ছিলেন না। পরিবারের লোকজন পরে বাড়িতে ফিরে ওই ঘটনা দেখে হতচকিত হয়ে পড়েন। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোটও মেলেনি বলে খবর।
মধ্যে দু’দিন কোথায় ছিলেন? সেই বিষয়টিই জানার চেষ্টায় পুলিশ। এছাড়াও জানা গিয়েছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিবাদ চলছিল বলে জানা গিয়েছে। সম্পর্কে কি তৃতীয় কোনও ব্যক্তির উপস্থিতি রয়েছে? সেই প্রশ্নও উঠেছে। খুন নাকি আত্মহত্যা, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লক্ষ্মীপুর স্কুলের প্রধানশিক্ষক সুজিত পাল বলেন,”সচ্ছল পরিবার। কোনও অশান্তির খবর ছিল না। কিন্তু তারপরও এভাবে একজন সহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনা মানতে খুব কষ্ট হচ্ছে।”
কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন,”ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর স্পষ্ট কারণ বলা সম্ভব নয়। তবে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.