ছবি: প্রতীকী
দীপঙ্কর মণ্ডল: শিক্ষকের যৌন হেনস্থার জেরে অপমানে কলেজ ছেড়ে দিলেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী। পশ্চিম বর্ধমানের নজরুল সেন্টেনারি পলিটেকনিক কলেজের (Nazrul Centenary Polytechnic) ঘটনা। গত বছর অক্টোবরে শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই ছাত্রী।
গত ৮ অক্টোবর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ওই ছাত্রী কলেজ ও কারিগরি শিক্ষাদপ্তরে লিখিত অভিযোগ জানান। বলেন, শুরু থেকেই তাঁকে ‘টার্গেট’ করেন শিক্ষক অভিষেক বেরা। ছাত্রীর কথায়, “কলেজে নানা অছিলায় আমাকে স্পর্শ করেন স্যর। খুব খারাপ ভাবে তাকান। যৌনতার কথা বলেন। শুরুতে আমি হস্টেলে থাকতাম। রাতে একদিন ফোন করে প্রেমের প্রস্তাব দেন। দিদিদের পরামর্শে স্যারের নম্বর আমি ব্লক করে দিই। ভয়ে আমি হস্টেল ছেড়ে মেসে থাকতে শুরু করি।” কিন্তু যৌন হেনস্তা বন্ধ হয়নি। সেমিস্টার পরীক্ষায় শিক্ষক অভিষেক বেরা অসভ্যতা করতে থাকেন। নিজের ক্ষমতা জাহির করে ওই ছাত্রীকে লাস্ট বেঞ্চে বসতে বাধ্য করতেন। পরীক্ষা চলাকালীন চটুল কথা বলতেন। আইসিসি (ইন্টার্নাল কমপ্লেন কমিটি)-র রিপোর্টে দোষী সাব্যস্ত হন শিক্ষক। শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়। করোনা সতর্কতায় এখনও রাজ্যের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন চলছে। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রী নতুন শিক্ষাবর্ষে রেজিস্ট্রেশন করেননি। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফারুক আলী সম্প্রতি ছাত্রীকে ফোন করেছিলেন। তাঁকে ওই ছাত্রী জানিয়েছেন, ওই কলেজে তিনি আর যাবেন না।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষককে ওই কলেজে আবার ফেরানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তা জানার পরেই ওই ছাত্রী কলেজ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উল্লেখ্য, বারুইপুর এবং জলপাইগুড়ি পলিটেকনিকেও আগে একই কাণ্ড হয়েছে। দোষী প্রমাণিত হওয়ার পর বারুইপুরে দোষী ব্যক্তিকে শুধু বদলি করা হয়। জলপাইগুড়িতে তাও হয়নি। উলটে পরে ওই কর্মীর পদোন্নতি হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.