রাজা দাস, বালুরঘাট: উচ্চারণে সাবলীলতা আনতে এবং অঙ্কের ভীতি দূর করতে চালু হচ্ছে অত্যাধুনিক পঠনপাঠন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরে এ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর প্রস্তুতি। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে অত্যাধুনিক উপায়ে পঠনপাঠন দিতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে শিক্ষকদের। ২ মাসের গ্রীষ্মের ছুটির পরেই শিক্ষকদের এই প্রশিক্ষণ পর্ব শুরু হতে পারে বলে খবর।
বুনিয়াদি শিক্ষাকে আরও শক্তিশালী এবং জনপ্রিয় করতে রাজ্য সরকার আগেই শিক্ষাদানের পদ্ধতিতে অদলবদল আনার কথা বলেছিল৷ তাতে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে। পড়ুয়াদের আগ্রহ বাড়াতে আরও সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। এর আগে এই পদ্ধতি প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য ভাবা হলেও, এবার তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ারাও তাতে সামিল হবে৷ তাদের অনায়াস পঠনের দক্ষতা ও অঙ্কে ভীতি দূর করার প্রয়াস নিয়েছে সমগ্র শিক্ষা অভিযান। শিক্ষকদের আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ওই কৌশল শিখিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। কারণ, প্রাথমিক পড়ুয়াদের গড়গড়িয়ে পড়ার সমস্যা ও অঙ্ক নিয়ে একটা ভীতি থাকে। পড়ুয়াদের হাতে-কলমে দক্ষতা বৃদ্ধি চেষ্টার পাশাপাশি গ্রুপ স্টাডির মাধ্যমে অঙ্কের ভীতি দূর করবার চেষ্টা হবে। সম্ভব হলে অডিও-ভিজুয়াল পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে।
দক্ষিণ দিনাজপুর শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে শিক্ষকদেরই এনিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বেশ কয়েকটি ধাপে৷ প্রথমে জেলার ৩৪ জন প্রাথমিক শিক্ষককে রিসোর্স পারসন হিসেবে বেছে নেওয়া হবে। তাঁদের তিনদিনের প্রশিক্ষণ দিতে আসবেন রাজ্য থেকে কি-রিসোর্স পারসনরা। পরের ধাপে প্রশিক্ষিত এই ৩৪ জন রিসোর্স পারসন জেলার ১১২৪ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেবেন। এরা আবার নিজ নিজ স্কুলে এই পদ্ধতি বাস্তবায়ন করবেন। জেলার প্রায় ১১৮৪ টি প্রাথমিক স্কুলের মধ্যে ৫৬২ স্কুলকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে প্রথম পর্যায়ের জন্য। এই স্কুল থেকে দু’জন করে শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ধীরে ধীরে জেলার সমস্ত স্কুলেই এই পদ্ধতি বাস্তবায়ন হবে বলে জেলা শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
এতদিন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য এই ব্যবস্থা চালু ছিল। তাতে ব্যাপক উন্নতি হচ্ছিল। রাজ্যের উৎকর্ষ অভিযান মূল্যায়ণে বহু ছাত্রছাত্রী তাদের দক্ষতা প্রমাণ করেছে। এরপরই সমগ্র শিক্ষা অভিযানের তরফে বড় ক্লাস অর্থাৎ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে চলেছে। এই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা জেলা আধিকারিক বিমলকৃষ্ণ গায়েন জানান, নির্দেশিকা ও বরাদ্দ পেয়ে গিয়েছেন। খুব শীঘ্রই প্রশিক্ষণের ব্যাবস্থা করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.