সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: তিনদিন আগে স্ত্রী ও পুত্রকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন আত্মীয়ের বাড়ি। কথা ছিল সেই দিনই ফিরে আসার। তবে শারীরিক অসুস্থতার জন্য তা হয়নি। তিনদিন পরে একাই বাড়ি ফিরে এসে বাড়ির চেহারা দেখে মাথায় হাত! দুটি আলমারি লণ্ডভণ্ড। অভিযোগ, লকার ভেঙে উধাও নগদ ২২ হাজার টাকা। নেই সোনার আংটি। চুরি গেছে ছেলের গলার চেন, স্ত্রীর নেকলেস-সহ একটি শিব ঠাকুরের লকেটও! নদিয়ার শান্তিপুরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে এক পুলিশ কর্মীর বাড়িতেই এমন দুঃসাহসিক চুরির ঘটনায় শোরগোল পড়েছে।
পেশায় পুলিশকর্মী গণেশ সরকার। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে পরিবার নিয়ে আত্মীয়র বাড়িতে ঘুরতে যান গণেশবাবু। বারান্দার কাঠের দরজা ও ঘরের দরজায় খিল দিতে ভুলে যান। তবে বন্ধ ছিল সদর দরজা এবং বারান্দার গ্রিলের দরজা। বাড়ি ফিরে এসে সদর দরজা খোলার পর বারান্দার দরজা খুলতে গিয়ে সেই দরজার লক না ঘোরায় সন্দেহ জাগে গণেশবাবুর। এর পরেই তালা না দেওয়া দরজা খুলে দেখেন লণ্ডভণ্ড হয়ে রয়েছে ঘর। সব কিছু দেখে বুঝতে পারেন, চুরি হয়েছে তাঁর বাড়িতে। ফোন করা হয় শান্তিপুর থানায়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে লিখিত অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেয়।
এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, কোনও দিনই ওই পাড়ায় এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি। তার উপর পাশেই থাকা ফার্নিচার বাজারের জোরাল আলো গণেশবাবুর বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছায়। রাস্তায় পাশের বাড়িতে চুরির ঘটনায় অবাক বাসিন্দারা। ওই দোকান এবং গণেশবাবুর বাড়ির পেছনে রয়েছে সিসি ক্যামেরা। সেই ক্যামেরার ফুটেজ দেখা দরকার বলে মনে করছেন বাসিন্দারা। তবে ওই তিনদিনের মধ্যে সন্দেহজনক কিছু চোখে পড়েনি বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। অন্যদিকে গণেশবাবুও এই বিষয়ে কাকে সন্দেহ করবেন, বুঝতে পারছেন না।
উল্লেখ্য, শান্তিপুর থানা এলাকায় পরপর বেশ কয়েকটি চুরি হয়েছে। এমতাবস্থায় ঘরের দরজা ও বারান্দার কাঠের দরজায় তালা না দেওয়ার ফলেই এই দুষ্কর্ম ঘটানো অনেক সহজ হয়েছে বলে মনে করছেন এলাকাবাসী। ঘটনার তদন্তে নেমেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.