অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ১৫৬ বছর আগে কালীপুজো (Kali Puja) শুরু হয়েছিল হাওড়ার (Howrah) ডোমজুড়ের দফরপুর গ্রামে। আজও নিষ্ঠাভরে পুজো হয় সেখানে। নেপথ্যে দফরপুর মনসাতলা বারোয়ারি কমিটি। তবে এই দেবীর নেই কোনও মন্দির। একটি বেদীর উপর বসিয়ে পুজো হয় দেবীকে। তবে এই পুজোয় রয়েছে একাধিক বিশেষত্ব।
কালীপুজোর দিনই সূর্যাস্তের পর শুরু হয় প্রতিমা তৈরি। তারপর তা এনে বেদীতে বসানো হয়। সাজানো হয় অলংকার দিয়ে। তবে দুপুর ২টো থেকে পুজো দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়ান স্থানীয় ও আশপাশের বহু মানুষ। এই পুজোর আরেকটি বিশেষত্ব হল, এখানে ঠাকুরের ছবি তোলা যায় না। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, বহুদিন ধরেই এই প্রথা চলে আসছে। পুজোর শেষে ভোরবেলা সূর্যোদয়ের আগেই গ্রামে কাছে বন্দ্যোপাধ্যায় পাড়ার শিউলি পুকুরের ঘাটে দেবীকে বসিয়ে রেখে আসা হয়। ভাসানো হয় না।
প্রতিমা ঘাটে বসিয়ে দেওয়ার পর আর মূর্তিকে দর্শন করা যায় না। কথিত আছে, ঘাটে বসানো ‘মা’কে দেখলে শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। আগে এই ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি স্থানীয়দের। সেই কারণে প্রতিমা মাথায় করে নিয়ে গিয়ে পুকুর ঘাটে বসিয়ে দেওয়ার পর আর কেউ তা দেখেন না। দেবী মূর্তি নিজেই ধীরে ধীরে জলে নেমে যায়।
জানা গিয়েছে, আগে এই পুজোয় প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ ছাগ বলি হত। তবে গতবছর থেকে করোনার কারণে তা হয়নি। প্রচুর মানুষেরও সমাগমও হত। তবে ভাইরাসের দাপটে বাধা পড়েছে জমায়েতেও। ডোমজুড় পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি সৌরভ চট্টোপাধ্যায় জানান, এবারও করোনার জন্য বলি বন্ধ থাকবে। তাঁর কথায়, “পুজো গ্রহণ, প্রসাদ বিলি, বলি সবটাই বন্ধ রাখা হয়েছে। শুধুমাত্র সামাজিক দূরত্ব মেনে দেবীর দর্শন করা যাবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.