রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: মেচেদা লোকালে ট্রলি ব্যাগ থেকে দেহ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে খুনের আগে মৃত ব্যবসায়ীর সঙ্গে থাকা ৬ লক্ষ টাকাও। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ব্যবসায়ী হাসান আলি খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রাজুকে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পারেন যে, ৬ লক্ষ টাকা নিয়ে ২৪ তারিখ কলকাতা থেকে দিঘার উদ্দেশ্যে রওনা হন হাসান। দালাল রাজুর ফোন পেয়ে রামনগর এলাকায় বাস থেকে নেমে যান তিন। এরপর রাজুর কথা মতো ওই এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে ওঠেন দু’জন। ওই বাড়িতেই বান্ধবীর সঙ্গে থাকত রাজু। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দিন রাতেই বান্ধবীর ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে হাসানকে খুন করে রাজু। ভারী বস্তুু দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাতও করা হয়। এরপর প্রমাণ লোপাটে দেহ ট্রলি ব্যাগে ভরে তুলে দেওয়া হয় মেচেদা লোকালে।
বিষয়টি জানাজানি হতেই রাজুর বান্ধবীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। যদিও ঘটনার দিন বান্ধবী সেখানে ছিল না বলেই জানিয়েছে রাজু। এ প্রসঙ্গে খড়গপুর জিআরপির পুলিশ সুপার আউধেশ পাঠক বলেন, “ধৃতদের নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। শ্বাসরোধ করার পর যে ভারী জিনিস দিয়ে হাসানের মুখে আঘাত করা হয়েছিল সেটি ও রক্ত মোছার কাজে ব্যবহৃত তোয়ালেটি উদ্ধার করা হয়েছে। ধৃত তিনজন ছাড়া ঘটনার সঙ্গে অন্য কারও যোগ রয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” প্রসঙ্গত, ২৫ ফেব্রুয়ারি মেচেদা লোকাল থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি ট্রলি ব্যাগ। সেটি খুলতেই মেলে বউবাজারের ব্যবসায়ী হাসান আলির দেহ। পরিবারের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৩ জনকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.