পুলিশের জালে ধৃতরা। নিজস্ব চিত্র
সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: অবৈধভাবে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে লুকিয়েছিল তিন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় হানা দেয়। গ্রেপ্তার করা হয় তিন বাংলাদেশিকে। পাকড়াও করা হয়েছে দালাল ওই ব্যক্তিকেও। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালিতে। কী কারণে ওই তিনজন এদেশে ঢুকেছিল? পুলিশ সেসব জানার চেষ্টা করছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল সোমবার গভীর রাতে নদিয়ার হাঁসখালির ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ওই তিনজন এদেশে অনুপ্রবেশ করেন। ওই এলাকার বাসিন্দা আমির হোসেন নামে এক ব্যক্তি দালাল হিসেবে কাজ করে বলে অভিযোগ। ওই ব্যক্তির বাড়িতেই তিনজন লুকিয়েছিল বলে খবর। এদিকে সেই কথা পুলিশের কাছে পৌঁছে যায়। এরপরেই ওই এলাকায় হানা দেয় হাঁসখালি থানার পুলিশ। তিনজনকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। এদেশে ঢোকার কোনও বৈধ কাগজপত্রও তাদের থেকে পাওয়া যায়নি। এরপরেই পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
জেরায় জানা গিয়েছে, ধৃত অনুপ্রবেশকারীদের নাম আলামিন এস কে, মাকছুদুল মোল্লা ও আদরি শেখ। দালালের মাধ্যমেই ওই তিনজন এদেশে অনুপ্রবেশ করে বলে খবর। অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে আমির হোসেনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল বলে খবর। কী কারণে ওই তিনজন এদেশে সীমান্ত পেরিয়ে এসেছিল? এদেশের ভুয়ো কাগজপত্র তৈরি করে থাকার পরিকল্পনা ছিল তাদের? নাকি নদিয়া হয়ে অন্য কোথাও যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ওই তিনজনের? ধৃতরা কি নাশকতার ছক করতে সীমান্ত পেরিয়ে এদেশে এসেছিল? সেসব প্রশ্ন উঠছে।
গত কয়েক মাস ধরে নদিয়ার সীমান্ত এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চলছে পুলিশের। রানাঘাট পুলিশ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে এখনও অবধি তিনশোর বেশি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী গ্রেপ্তার হয়েছে বলে খবর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইসব এলাকায় ধারাবাহিকভাবে অভিযান চলবে। এদিন ওই ধৃত চারজনকে আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের জেরা করে আরও তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। সেই কথা জানা গিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.