দেবব্রত দাস, খাতরা: মুকুটমণিপুরের বন পুখুরিয়া ডিয়ার পার্কে তিনটি হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার। তাদের প্রত্যেকের শরীরে মিলেছে একাধিক ক্ষতচিহ্ন। প্রাথমিভাবে বনদপ্তরের অনুমান, কুকুরের কামড়েই মৃত্যু হয়েছে হরিণের। তবে কীভাবে হরিণগুলি পরিখা ঘেরা জায়গা থেকে বাইরে বেরোল, উঠছে সেই প্রশ্ন। বনদপ্তরের গাফিলতিতেই এমন কাণ্ড ঘটেছে বলেই অভিযোগ পশুপ্রেমীদের।
বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরের বন পুখুরিয়া ডিয়ার পার্কে অন্তত ১০০টি হরিণ রয়েছে। এই তিনটি হরিণও এতদিন সেখানেই থাকত। পর্যটকদের মনোরঞ্জন করেছে হরিণগুলি। তবে বৃহস্পতিবার সকালে ডিয়ার পার্কের কাছে তিনটি হরিণের দেহ পড়তে থাকা দেখা যায়। খবর যায় বনকর্মীদের কাছে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছন তাঁরা। বনকর্মীরা দেখেন কারও পেটে আবার কারও পিছনের পায়ের কাছে মিলেছে ক্ষতচিহ্ন। কীভাবে ওই হরিণগুলির মৃত্যু হল, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বনদপ্তরের কর্মীরা হরিণের দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে বনকর্মীদের অনুমান, কোনও হিংস্র কুকুরের আক্রমণেই ওই তিনটি হরিণের মৃত্যু হয়েছে।
তবে ডিয়ার পার্কে চতুর্দিকে উঁচু পরিখায় ঘেরা। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে হরিণগুলি পরিখা ঘেরা জায়গা থেকে বাইরে বেরিয়ে এল? কেউ কি তাদের বেরিয়ে যেতে সাহায্য করেছে? এই ঘটনার সঙ্গে কোনও পাচারকারীর যোগসাজশ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় প্রশ্নচিহ্নের মুখে ডিয়ার পার্কের নিরাপত্তা। তিনটি হরিণের রহস্যমৃত্যুতে ক্ষুব্ধ পশুপ্রেমীরা। বনদপ্তর আরও সজাগ হলে, এমন কাণ্ড ঘটত না বলেই দাবি তাঁদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.