Advertisement
Advertisement
Alipurduar

পাঁচের মধ্যে বিকল তিন যন্ত্র! আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে ডায়ালিসিসে নাকাল রোগীরা

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ২৫ জন রোগী ডায়ালিসিস করতে আসেন।

Three dialysis machines out of five is broken at Alipurduar Hospital
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:February 11, 2025 2:41 pm
  • Updated:February 11, 2025 2:41 pm  

নিজস্ব সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: জেলা সদর হাসপাতালের ডায়ালিসিস ইউনিটে পাঁচ মেশিনের তিনটিই খারাপ হয়ে গিয়েছে। ফলে কিডনির রোগীরা সমস্যায় পড়ছেন। মেশিনগুলো দ্রুত মেরামতের দাবি তুলেছেন কিডনি রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। বারবার বলার পরেও মেশিন মেরামত হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন কিডনির রোগী ও তাদের আত্মীয়রা। মেশিন খারাপ হওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলা সদর হাসপাতালের সুপার ডাঃ পরিতোষ মণ্ডলও। তিনি বলেন, “পিপিপি (পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ) মডেলে আমাদের হাসপাতালে ডায়ালিসিসের মেশিন বসানো আছে। যে কোম্পানির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই মেশিন বসানো হয়েছে তাদের বার বার বলার পরেও মেশিন ঠিক করে দিতে পারছে না। অনেক পুরনো মেশিন এগুলি। আবার নতুন ১০ মেশিন এখানে চালু করার কথা পিপিপি পার্টনার সেগুলোও আনছেন না। সব মিলিয়ে আমরা মানুষকে পরিষেবা দিতে পারছি না। সমস্যা হচ্ছে। মানুষের সমস্যা সমাধানের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।”

জানা গিয়েছে, জেলা সদর হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিটে মোট পাঁচটি ডায়ালিসিস মেশিন রয়েছে। এক একজন রোগে একটি মেশিনে ডায়ালিসিস করতে সময় লাগে চার ঘণ্টা। সেই হিসাবে একটি মেশিনে ২৪ ঘণ্টা ৬ জনের বেশি রোগীকে ডায়ালিসিস করা সম্ভব হয় না। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই একটি মেশিন ২৪ ঘণ্টা চালিয়ে রাখাও সম্ভব হয় না। ফলে গড়ে একটি মেশিনে সর্বোচ্চ দিন-রাত মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৫ জন রোগীর ডায়ালিসিস করা যায়।

Advertisement

অথচ জেলা সদর হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ২৫ জন রোগী ডায়ালিসিস করতে আসেন। পাঁচ মেশিনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে তিনটি মেশিন বিকল হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। আলিপুরদুয়ার জংশনের কিডনি রোগীর আত্মীয় নিতাই বর্মন বলেন, “পাঁচের মধ্যে তিনটি মেশিন খারাপ হয়ে রয়েছে। ফলে বাইরে বেসরকারিভাবে ডায়ালিসিস করাতে হচ্ছে আমাদের রোগীকে। বাইরে ডায়ালিসিস করানোর খরচ অনেক। গরীব মানুষের পক্ষে তা করানো সম্ভব নয়। গরিব কিডনি রোগীদের মৃত্যুর দিকে যাওয়া ছাড়া আর অন্য কোন উপায় থাকে না। অবিলম্বে মেশিনগুলো ঠিক করা উচিত।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement