সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একুশের নির্বাচনে লড়াইয়ের সুযোগ পাননি। নানা কারণে ঘাসফুল শিবির প্রার্থী করেনি তাঁদের। ক্ষোভ, অভিমানে ছেড়েছিলেন দল। তারপর সাম্প্রতিক রাজনীতির স্রোতে গা ভাসিয়ে নাম লিখিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। কিন্তু সেখানেও প্রার্থীপদ মেলেনি। তবে নেহাৎ খালি হাতেও ফিরতে হল না তৃণমূলত্যাগী (TMC) বিধায়ক সোনালি গুহ, শীতল সর্দার, দীপেন্দু বিশ্বাসদের। মিলল সান্ত্বনা পুরস্কার। বিজেপি রাজ্য কমিটির স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য করা হল এই তিনজনকে।
দীপেন্দু বিশ্বাস (Dipendu Biswas) ছাড়া সোনালি গুহ, জটু লাহিড়ী, শীতল সর্দার – প্রত্যেকেই একাধিকবার তৃণমূলের প্রতীকে বিধায়ক হয়েছিলেন। প্রবীণ জটু লাহিড়ী ২ বার কংগ্রেসের প্রতীকে ও তিনবার তৃণমূলের হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন। শীতল সর্দারের রাজনৈতিক কেরিয়ারও প্রায় একই। আর সোনালি গুহ ২০০১ সাল থেকে সাতগাছিয়া কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক। সোনালি ছিলেন মমতার একসময়ের ছায়াসঙ্গী। একুশের ভোটে সাতগাছিয়া থেকে টিকিট না দেওয়ায় সোনালি-মমতার ৩০ বছরের সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছে। সেই সুযোগে মমতার অতি ঘনিষ্ঠ এই নেত্রীকে দলে স্বাগত জানাতে এতটুকুও দেরি করেননি গেরুয়া শিবিরের নেতারা। তবে বিজেপির (BJP) প্রার্থী হয়ে ভোটে লড়াইয়ের সুযোগও দেওয়া হয়নি এই তিনজনের কাউকেই। তবে এবার তাঁদের সকলকেই সাংগঠনিক পদ দেওয়া হল। আপাতত বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে নেমেছেন।
বিজেপির রাজ্য কমিটির স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য হয়ে দীপেন্দু বিশ্বাস খুবই খুশি। তাঁর মতে, মাত্র একমাস বিজেপিতে যোগদান করার পরই এই পদ পেয়ে সম্মানিত বোধ করছেন। সোনালি গুহ বরাবরই জানিয়েছিলেন, তাঁর পদ চাই না, সম্মান চাই, ভালভাবে কাজের সুযোগ চাই। তাই প্রার্থী হতে না পেরেও তেমন আক্ষেপ ছিল না বলেই দাবি করেছিলেন সাতগাছিয়ার বিদায়ী বিধায়ক। তবে এবার বিজেপির স্থায়ী কমিটির আমন্ত্রিত সদস্য হওয়া প্রত্যাশার চেয়ে বাড়তি পাওনা বলে মনে করছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.