সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: নতুন বছরের আগেই ‘উপহার’ পেল পুরুলিয়া। শহর পুরুলিয়ার উপকন্ঠে সুরুলিয়া মিনি জু-তে এল নতুন অতিথি। প্রায় ১৬০ কিমি পথ ভেঙে মঙ্গলবার রাতে এই ছোট চিড়িয়াখানায় পা রাখে তিনটি সম্বর।
অবিকল হরিণের মতই দেখতে তবে চেহারায় অনেকটাই বড়সড় এই বন্যপ্রাণকে দেখার সুযোগ অবশ্য এখনই হবে না এই চিড়িয়াখানায় আসা দর্শনার্থীদের। তাদেরকে এনক্লোজারে ঢুকিয়ে দেওয়া হলেও এখন তাদেরকে আড়ালেই রাখছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। আপাতত এক মাস তাদেরকে দিন–রাত পর্যবেক্ষনে রেখে এই পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর পরই দর্শনার্থীরা এই বন্যপ্রাণকে দেখতে পারবেন বলে চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গিয়েছে। এই সম্বর ছাড়াও নতুন বছরে উত্তরবঙ্গ থেকে লেপার্ড, দার্জিলিং থেকে জঙ্গল রেড ফাউল, এছাড়া লেসার ক্যাট ও হায়না নিয়ে আসা হবে বলে চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গিয়েছে।
এই সম্বরগুলিকে ঝাড়খন্ডের রাঁচির কালামাটি বিরসা মৃগ বিহার থেকে লরিতে করে নিয়ে আসা হয়। তাদেরকে ওই চিড়িয়াখানা থেকে আনতে গত চার–পাঁচ দিন ধরেই নানান তোড়জোড় চলছিল। গত সোমবার তাদের নিয়ে আসতে পুরুলিয়া থেকে লরি রওনা দেয়। দীর্ঘ পথের ধকল সয়ে তারা এই নতুন জায়গায় এলেও এদিন তাদের মেজাজ ছিল ফুরফুরে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঠিক সময়ে একেবারে স্বাভাবিক খাওয়া-দাওয়াই করেছে এই তিনটি সম্বর। তিনটি সম্বরের মধ্যে দুটি মাদী ও একটি পুরুষ। তবে এখন এদের নামকরণ করা হয়নি।
আগামী বন্যপ্রান দিবসে তাদের নামকরণ করা হতে পারে বলে এই মিনি জু দেখভাল করা কংসাবতী উত্তর বনবিভাগ জানিয়েছে। এখন এই তিনটি সম্বরকে আলাদা ভাবে রাখা হলেও মাসখানেক পর হরিণের সঙ্গেই রাখা হবে। তবে এই সম্বরকে দেখে পাশের এনক্লোজারে থাকা হরিণের দল খানিকটা দূরে-দূরেই থাকছে। কিন্তু সম্বরগুলির একে অপরের মধ্যে মিল রয়েছে যথেষ্টই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.