দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল দিয়েছিলেন ভোটারদের গুড়-বাতাসা দেওয়ার নিদান। এবারের লোকসভায় যদিও তিনি ভোটারদের নকুলদানা খাইয়েছেন। কিন্তু, তৃণমূলের কর্মীরা এখনও বাতাসার মায়া ছাড়তে পারেননি। সেকারণেই হয়তো, রবিবার শেষ দফার ভোটে বাসন্তীতে ভোটারদের বাতাসা খাওয়ানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তবে, শুধু গুড়বাতাসা নয়, সঙ্গে থাকছে মুড়ি এবং ছোলাও। অভিযোগ, তৃণমূলকে ভোট দিলেই মিলছে মুড়ি-বাতাসা এবং ছোলা।
ভোট হবে আর খাওয়া দাওয়া হবে না, তাও কি হয়! থাক না কমিশনের বিধি নিষেধ । সেসব থোড়াই কেয়ার। কোনওক্রমে মুড়ি-বাতাসা খাইয়ে যদি ভোটারদের প্রভাবিত করা যায়, মন্দ কী? অন্তত তেমনটাই চেষ্টা করছেন জয়নগর লোকসভার বাসন্তী বিধানসভা কেন্দ্রের তিতকুমার এলাকার তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ, আগে থেকেই ভোটারদের বলে দেওয়া হচ্ছে, ভোট দিতে হবে মমতাকেই। আর মমতাকে ভোট দিলেই মিলবে সুস্বাদু জলখাবার। ভোটাররাও প্রাণ খুলে মমতাকে ভোট দিয়ে প্লাস্টিক প্যাকেটে করে ছোলা-বাতাসা নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, এভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করা হচ্ছে। যদিও শাসকদল এতে অন্যায় কিছু দেখছে না। তাঁদের দাবি, এমনটা হয়েই থাকে। মথুরাপুরেও তৃণমূলকর্মীরা সকাল থেকে সরবত আর নকুল দানাও বিলোচ্ছেন। এতেও কোনও বিতর্ক দেখতে নারাজ শাসকদল৷ শাসক-বিরোধী দুই শিবিরকেই গরম থেকে বাঁচতে দেওয়া হচ্ছে নকুলদানা।
এই প্রথম নয়, লোকসভা নির্বাচনের একাধিক জায়গায় মুড়ি-ঘুগনি বা সফট ড্রিংক খাইয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। কমিশনের তরফে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও তৃণমূল কর্মীরা দমছেন না। এদিকে, মথুরাপুর বিধানসভার একাধিক কেন্দ্রে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দেগঙ্গা এবং রায়দিঘিতে বোমাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে।
রাজ্যের ৪২ আসনের সম্ভাব্য ফলাফলের আভাস পেতে নজর রাখুন সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের ভোট পরবর্তী সমীক্ষায়৷ চোখ রাখুন সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের ফেসবুক পেজে, আজ সন্ধে ৭টায়৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.