ধীমান রায়, কাটোয়া: বিজেপি সমর্থক হওয়ায় এক ব্যক্তির পুকুরে বিষ দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কাটোয়ার খাজুরডিহি পঞ্চায়েত এলাকায়। পুকুর মালিকের অভিযোগ, বিজেপিকে সমর্থন ও কাটমানি ফেরতের দাবিতে উপপ্রধান ও শাসকদলের কয়েকজন নেতার বাড়ি ঘেরাওয়ের প্রতিশোধ নিতেই একাজ করেছে শাসকদলের সদস্যরা। যদিও অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
কাটোয়ার খাজুরডিহি গ্রাম পঞ্চায়েতের মণ্ডলহাটের বাসিন্দা সনাতন ঘোষ। জানা গিয়েছে, সনাতনবাবুর ছেলে বলরাম মণ্ডল সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবে এলাকায় পরিচিত। গেরুয়া শিবিরের মিটিং, মিছিলে বরাবরই প্রথম সারিতে দেখা যায় তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রী কাটমানি ফেরতের নির্দেশ দেওয়ার পর টাকা ফেরতের দাবিতে ২৯ জুন খাজুরডিহি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও দুজন তৃণমূলকর্মীর বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। সেই বিক্ষোভেই ছিলেন সনাতনবাবু ছেলে বলরামও।
তৃণমূলের তরফে এনিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হলে,গ্রেপ্তারও করা হয় বলরামকে। শনিবারই জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপর রবিবার সকালে সনাতনবাবু ঘুম থেকে উঠে দেখতে পান, তাঁর পুকুরের কয়েক কুইন্ট্যাল মাছ মরে ভেসে উঠেছে। দেখেই মাথায় হাত পড়ে তাঁর৷ বুঝতে পারেন, এটা পুকুরের জলে বিষক্রিয়ার ফল৷ তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরাই পরিকল্পনামাফিক পুকুরে বিষ মিশিয়েছে।
সনাতনবাবুর অভিযোগ, “গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বিজেপির কার্যালয় তৈরির জন্য আমরা ঘর দিয়েছিলাম। আমার ছেলে সক্রিয়ভাবে বিজেপি করে। সেই কারণে নানাভাবে আমাদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এরপরও আমরা মতামত পরিবর্তন করিনি। ফলে লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর সরাসরি হুমকি দেওয়ার সাহস পায়নি। সেই কারণে পুকুরে লুকিয়ে বিষ ঢেলে দিয়েছে।” এ প্রসঙ্গে কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এটা তৃণমূলের সংস্কৃতি নয়। আমার মনে হয়, ওই পুকুরে বিষ দেওয়ার ঘটনায় আমাদের দলের কোনও যোগ নেই। তবে পুলিশ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করুক, এটাই চাই।” তবে পুকুরে চাষ করা মাছ এভাবে মরে যাওয়ায়, ব্যবসা নিয়ে বেশ চিন্তিত সনাতনবাবু৷
ছবি: জয়ন্ত দাস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.