প্রতীকী ছবি
অর্ণব দাস, বারাকপুর: হালিশহরে এক ব্যক্তিকে খুনের চেষ্টা! ইট দিয়ে মাথা থেঁতলে দেওয়ার অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় আহত ব্যক্তি কল্যাণী এইমসে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয়ছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত ব্যক্তির নাম রাজু দে। তিনি হালিশহরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি বিজেপি কর্মী বলেই পরিচিত। রাজু, বিজেপি নেতা অর্জুন ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আহতের পরিবারের অভিযোগ, রামনবমীর মিছিলে যোগ দেওয়ার কারণে তাঁর উপর প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে তৃণমূল। তাঁদের আরও দাবি, মারধরের ঘটনা সিসিটিভি ফুটেজে পরিষ্কার দেখা গিয়েছে। আহতকে প্রথমে কল্যাণী জহরলাল নেহরু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাঁকে এইমসে পাঠানো হয়। মাথায় ২৮টি সেলাই পড়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর জানিয়েছেন, “বীজপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই করে অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
এই ঘটনায় এইমসে আহত কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে যান বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। সেখানে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন অর্জুন। তাঁর কথায়, “ইট দিয়ে বিজেপি কর্মীকে মারধরের পালটা জবাব দেওয়া হবে। এর হিসাব হবে। পুলিশ পুরো দলদাসে পরিণত হয়েছে।” অর্জুন ছাড়াও ওই কর্মীকে দেখতে যান কল্যাণী ও চাকদহের বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায় ও বঙ্কিম ঘোষ।
যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় নেতা প্রবীর সরকার। তাঁর মতে, এই ঘটনায় তৃণমূল যুক্ত নেই। বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা বলে দাবি করেছেন তিনি। বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারী জানিয়েছেন, “অর্জুন সিং নিজেই তো গুলি চালায়, সন্ত্রাস করে। তাই, ও এই কথাগুলি বলে রাজনৈতিক রঙ লাগানোর চেষ্টা করবে, এটাই স্বাভাবিক। এই কারণেই লোকসভা ভোটে মানুষ অর্জুন সিংকে প্রত্যাখ্যান করেছে। আসলে ঘটনাটি সম্পূর্ণ পাড়ার বিবাদ। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.