শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে জুড়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে যখন সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব বিরোধীরা, তখন জলপাইগুড়ির রংধামালিতে আবার বিরোধীদের সন্ত্রাস রুখতে লাঠি, তির-ধনুক নিয়ে গ্রাম পাহারা দিচ্ছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। গ্রাম পাহারায় শামিল শাসকদলের হাজার পাঁচেক কর্মী-সমর্থক। স্থানীয় পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রার্থী ও বিদায়ী প্রধান কৃষ্ণ দাসের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে রংধামালিতে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। তাই এলাকাবাসীদের নিয়ে গ্রাম পাহারা ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে, বিজেপির উত্তরবঙ্গ কো-অর্ডিনেটরের গাড়ি ভাঙচুরকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল জলপাইগুড়ির বারোপেটিয়ায়। বিজেপির অভিযোগ, শাসকদলের কর্মীরাই এই হামলা চালিয়েছেন। ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল করাকে কেন্দ্র করে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন গেরুয়াশিবিরে কর্মী-সমর্থকরা।
[কান্দিতে অধীরের মিছিলে বাধা, পুলিশ সুপারের কাছে জবাব তলব হাই কোর্টের]
এ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের ভবিষ্যৎ কী? তা জানতে এখনও অপেক্ষা করতে হবে আরও একটা দিন। বৃহস্পতিবার পঞ্চায়েত মামলার শুনানি শেষ হয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে। শুক্রবার রায়দান। হাই কোর্ট জানিয়েছে, রায়দান না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়ার উপর বহাল থাকবে স্থগিতাদেশ। কিন্তু, পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় অশান্তির বিরাম নেই। তবে চমকপ্রদ ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতে। সদর ব্লকের রংধামালিতে রীতিমতো তির-ধনুক, লাঠি নিয়ে গ্রাম পাহারা দিচ্ছেন শাসকদলের হাজার পাঁচেক কর্মী-সমর্থক। কিন্তু, কেন? স্থানীয় পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রার্থী ও বিদায়ী প্রধান কৃষ্ণ দাসের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ওই এলাকায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। বিরোধীদের ছক বানচাল করতে গ্রাম পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই কর্মসূচি শামিল এলাকার সব সম্প্রদায়ের মানুষই।
[বিজেপির দেওয়াল লিখনে গোবর লেপে দেওয়ার অভিযোগে উত্তেজনা রামনগরে]
একদিকে রঙধামালিতে সন্ত্রাস রুখতে শাসকদলের কর্মীরা যখন গ্রাম পাহারা দিচ্ছেন, তখন এক বিজেপি নেতার গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল বারোপেটিয়ায়। গত কয়েক দিন ধরেই বারোপেটিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। দিন কয়েক আগে গেরুয়াশিবিরের এক মহিলা প্রার্থীর বাড়িতেও হামলা হয়। ঠিক হয়েছিল, বৃহস্পতিবার শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে জলপাইগুড়ি থেকে বারোপেটিয়া পর্যন্ত মিছিল করবে বিজেপি। গেরুয়াশিবিরের অভিযোগ, তাদের মিছিল রুখতে প্রস্তুত ছিলেন শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরা। মিছিল শুরুর আগে দলের উত্তরবঙ্গ কো-অর্ডিনেটরের গাড়ি ভাঙচুর চালানো হয়। পরে আবার মিছিল করাকে কেন্দ্র করে জেলা নেতাদের হাতাহাতি জড়িয়ে পড়েন বিজেপি স্থানীয় কর্মীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জলপাইগুড়ি শহর থেকে যখন মিছিল বারোপেটিয়া দিকে আসছিলেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা, তখন উলটো দিকে মিছিল করছিলেন শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরাও। সংঘর্ষ এড়াতে বিজেপি মিছিলটিকে আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের কাছ বাধা পেয়ে আর এগোননি বিজেপি জেলা নেতারা। আর তাতেই ক্ষেপে যান দলের স্থানীয় কর্মীরা। প্রথমে বচসা, তারপর শুরু হয় হাতাহাতি।
ছবি: সুবীর এস
[বিয়ের ভয়ে বাড়ি ফিরতে নারাজ নাবালিকা, বিক্ষোভের মুখে বিডিও]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.