নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: দোল উৎসবের দিনে পাড়ার বচসা গড়াল রাজনৈতিক সংঘর্ষে৷ ঘটনায় এক বিজেপি নেতাকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সুভাষ মুণ্ডা। শনিবার রাতে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরে বাড়ির কাছ থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রবিবার বনগাঁ আদালতে পেশ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, দোলের দিন রং খেলায় মেতে ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানা এলাকার আকাইপুরের মুণ্ডা সম্প্রদায়ের মানুষেরা। অভিযোগ, সেখানে রং খেলা নিয়েই এলাকার কয়েকটি পরিবারের মধ্যে বিরোধ বাঁধে। সামান্য অশান্তি থেকেই তাঁদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ, সেই সময় স্থানীয় বিজেপি নেতা সুভাষ মুণ্ডা কয়েকজনকে মারধরও করেন। এলাকার মহিলাদের মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগও ওঠে ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। এরপরই রাজনৈতিক সংঘর্ষ আকার নেয় পাড়ার এই অশান্তি। এলাকার তৃণমূল সমর্থকরা অভিযোগ তোলেন বিজেপি নেতা এলাকার বাসিন্দাদের উপর অত্যাচার করছেন। পালটা অভিযোগে সরব হয় বিজেপির কর্মী,সমর্থকরাও। এরপর এদিন রাতেই বিজেপি ও তৃণমূল – উভয়েই একে অপরের বিরুদ্ধে গোপালনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে৷
জানা গিয়েছে, তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার রাতে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা সুভাষ মুণ্ডাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যদিও বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করছিল। পরে বিজেপি সমর্থকদেরও মারধর করে তারা। এমনকী এলাকার এক মহিলার শ্লীলতাহানিও করা হয়, আক্রান্ত হয়েছেন ওই মহিলার ছেলেও। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল জানিয়েছেন, তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা সকলকে মারধর করছে দেখে সুভাষ মুণ্ডা আটকাতে যান। সেই ক্ষোভেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, ‘যারা মারধর করেছে তাদের গ্রেপ্তার না করে, পুলিশ আমাদের নেতাকেই গ্রেপ্তার করল৷’
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন ‘বিজেপি এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা করছে। নিজেদের দোষ ঢাকতেই থানার দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি।’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত বিজেপি নেতাকে রবিবার বনগাঁ আদালতে তোলা হয়েছে। সেইসঙ্গে পুলিশের তরফে জানান হয়েছে, যথাযথ তদন্ত চলছে৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে, কোনও রাজনৈতিক রং দেখে কাউকেই রেয়াত করা হবে না৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.