শিলিগুড়িতে তৃণমূল-বিজেপির ধুন্ধুমার। নিজস্ব চিত্র।
তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধে রাজ্যজুড়ে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় শিলিগুড়িতে। সম্মুখ সমরে জড়ায় তৃণমূল-বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের মহিলা বিধায়ককে হেনস্তার অভিযোগ উঠল জোড়াফুল শিবিরের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বর্ষীয়ান মহিলা বিধায়ককে জোর করে গাড়ি থেকে নামানোর চেষ্টা করা হয়। টানা হ্যাঁচড়া করে সরানোর চেষ্টা চলে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শিলিগুড়ি থানা ঘেরাও করেছে বিজেপির নেতা-কর্মীরা।
নবান্ন অভিযানে পুলিশি হেনস্তার প্রতিবাদে বুধবার বাংলা বন্ধের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেই ডাকে সাড়া না দিয়ে এদিন সকালে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন চত্বরে একাধিক দোকান খোলা ছিল। সেখানে গিয়ে দোকানদারদের দোকান বন্ধ করতে বলেন ডাববাড়ি-ফুলগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। সেখানে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাও উপস্থিত ছিলেন। তারা পালটা শিখাদেবীর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, স্কুটিতে চেপে তিনি চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে তাড়া করে তৃণমূল কর্মীরা। গাড়ি থেকে টেনে হিচড়ে নামানোর চেষ্টা করে। সেইসময় ঘটনাস্থলে পৌঁছন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়। তাঁর গাড়ি ঘিরেও চলে বিক্ষোভ। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ দুপক্ষকে সরিয়ে নিয়ে যায়। তাতেও অবশ্য উত্তেজনা কমেনি। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, থানা ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপির কর্মী, সমর্থকরা।
ঘটনাপ্রসঙ্গে বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি দোকান বন্ধ করার অনুরোধ করছিলাম। তখন তৃণমূলের গুন্ডারা আমার উপর চড়াও হয়। মারধর করে। টেনে হিচড়ে গাড়ি থেকে নামায়।” যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিলিগুড়ির শহর আইএনটিটিইউসির ৩ নম্বর টাউন ব্লক সভাপতি সুজয় সরকার বলেন, “সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। তৃণমূলের নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে। উনি জোর করে দোকান বন্ধ করছিলেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.