সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ভোটের পর থেকে জনরোষের ভয়ে এলাকাছাড়া দুর্গাপুর পুরনিগমের এক তৃণমূল কাউন্সিলর। আতঙ্ক এতটাই যে, দলীয় নেতৃত্ব, এমনকী পুলিশের আশ্বাসেও ভরসা পাচ্ছেন না তিনি। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, গত ১০ মে দুর্গাপুর পুরনিগমের বৈঠকের পর ওই কাউন্সিলরকে দল বেঁধে এলাকায় ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু বিষয়টি টের পেয়ে বৈঠকের মাঝপথে পালিয়ে যান তিনি।
দুর্গাপুর পুরনিগমের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর শশাঙ্কশেখর মণ্ডল। ২৯ এপ্রিল ভোট ছিল বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রে। সেদিন সিপিএমের এক পোলিং এজেন্টকে মারধর ও তাঁর বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল দুর্গাপুর শহরের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের আশিসনগরে। ঘটনার পর স্থানীয় কাউন্সিলর শশাঙ্কশেখর মণ্ডলের বাড়ি ও তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। মারধর করা হয় কাউন্সিলরের দাদা-সহ শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের। ঘটনার দিন ভয়ে এলাকা ছাড়েন তৃণমূল কাউন্সিলর শশাঙ্কশেখর মণ্ডল। এই ঘটনায় বিপাকে পড়ে এ রাজ্যের শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্বও। ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করেন স্থানীয় বিধায়ক বিশ্বনাথ পাড়িয়াল। তৃণমূলের অন্দরের খবর, বিধায়কের সুপারিশেই পুরভোটে টিকিট পেয়েছিলেন ওই কাউন্সিলর। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে এখনও এলাকায় ঢুকতে দিতে নারাজ দুর্গাপুরের আশিসনগর এলাকার বাসিন্দারা। জনরোষের ভয়ে এলাকায় ঢুকতে ভয় পাচ্ছেন কাউন্সিলরও। ভোটের পর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি।
এদিকে লোকসভা ভোটের দিন থেকে যে দলের কাউন্সিলর যে এলাকাছাড়া, সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন। তিনি জানিয়েছেন, ওই কাউন্সিলরকে বারবার এলাকায় ফিরতে বলা হচ্ছে। প্রয়োজনে দলের কর্মী ও পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তাঁকে এলাকায় ফিরতে বলা হয়েছে। কিন্তু ঊনি কিছুতেই রাজি হচ্ছেন না। দলের বৈঠকে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.