রাজা দাস, বালুরঘাট: গর্ভপাত করাতে গিয়ে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল বালুরঘাটের বংশীহারি থানার জামাত এলাকায়। মৃত কিশোরীর নাম লক্ষ্মী রায়। সে স্থানীয় স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। অভিযোগ, জামাইবাবুর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। মান বাঁচাতেই কিশোরীকে স্থানীয় হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই গর্ভপাতের সময় ওই কিশোরীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত হাতুড়ে ডাক্তার খোকন বিশ্বাস।
জানা গিয়েছে, জামাইবাবুর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল ওই কিশোরী। লোকলজ্জার ভয়ে এতদিন সে মুখ খোলেনি। এদিকে দেখতে দেখতে আট মাস কেটেছে। বিষয়টি বুঝতে পরিবারের লোকজনের খুব একটা দেরি হয়নি। মান বাঁচাতে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর গর্ভপাতের ব্যবস্থা করা হয়। সেজন্যই বংশীহারির হাতুড়ে চিকিৎসক খোকন বিশ্বাসের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে কিশোরীর পরিবার। ঠিক হয়, শুক্রবার সন্ধ্যাতে হবে গর্ভপাত। সেইমতো কিশোরীকে ওই চিকিৎসকের ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় কিশোরীর। মৃতের পরিজনরা চেঁচামেচি শুরু করলে ঘটনাস্থলে লোক জড়ো হয়ে যায়। বেগতিক বুজে ঘটনাস্থল রেখে পালিয়ে যান ওই হাতুড়ে ডাক্তার।
বলা বাহুল্য, পলাতক হাতুড়ে ডাক্তার খোকন বিশ্বাসের আরও একটি পরিচয় প্রকাশ্যে এসেছে। তিনি বুনিয়াদপুর পুরসভার ছ’নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর। এর আগেও তাঁর তত্ত্বাবধানে গর্ভপাতের সময় এক মহিলার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। পলাতক ডাক্তারের গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান ঘনশ্যাম রায় জানান, চিকিৎসা করাতে গিয়ে কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। যদিও গর্ভপাতের বিষয়টি তিনি স্বচ্ছন্দে এড়িয়ে যান বলে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.