স্টাফ রিপোর্টার: সংবাদমাধ্যমে ‘গরমাগরম ডায়ালগ’ ছেড়ে পাকিস্তানি রেঞ্জারদের হাতে আটক বিএসএফ জওয়ান পূর্ণমকুমার সাউকে মুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রের সদর্থক ভূমিকা নেওয়ার দাবি জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। একইসঙ্গে পূর্ণমকে পাক সেনার হাত থেকে মুক্ত করার বিষয়েও কেন্দ্রীয় সরকার উদাসীন বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ‘চুন চুন’ করে জঙ্গিদের মারা নিয়ে মন্তব্যের জেরে রাজ্য তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শুক্রবার বলেন, “শুধুমাত্র ডায়ালগ শুনিয়ে হবে না। কয়েকটা যুদ্ধ জাহাজের মহড়া দেখালেন, যুদ্ধ বিমানের ওঠানামা টিভির পর্দায় দেখিয়ে বাজার গরম করা হচ্ছে। আগে বলুন বাংলার যে ছেলেটা পাকিস্তানি রেঞ্জারদের হাতে বন্দি তাঁকে ফিরিয়ে আনা নিয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল? শুধু শোনাচ্ছেন, আলোচনা চলছে। কিন্তু কী আলোচনা হল? কতটা সদর্থক হল? তা জানতে চায় গোটা দেশ।”
এরপরই নাম না করে অমিত শাহর উদ্দেশে কুণালের প্রশ্ন, “আপনি বলছেন, চুন চুনকে মারবেন, ভাল কথা। কিন্তু তার আগে তো আপনার বিএসএফের চোখ ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত টপকে এসে আমাদের ঘরে ঢুকে নাম ধরে ধরে ওরাই তো চুন চুনকে গুলি করে মেরে গেল। তখন কোথায় ছিল আপনার সেনা-গোয়েন্দারা? আগে বলুন, বাংলার ছেলে পূর্ণম সাউ কবে ফিরবে? তার ব্যবস্থা দ্রুত করুন।”
পূর্ণম সাউয়ের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রজনী সাউ পাঠানকোট গিয়ে এমন কোনও সদর্থক আশ্বাস না পেয়ে হতাশ হয়ে হুগলির বাড়িতে ফিরে এসেছেন। ঘুরিয়ে মোদি সরকারের দিকে আঙুল তুলে তিনি বলেছেন, “৮ দিন পেরিয়ে গেল স্বামী পাক রেঞ্জারদের হাতে বন্দি কিন্তু বিএসএফ আধিকারিকরা শুধুমাত্র আশ্বাস দিচ্ছেন।” পূর্ণমের বাবাও এদিন সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করে বলেছেন, “ছেলেকে ফেরানোর দায়িত্ব কেন্দ্রের। কিন্তু তারা কী করছে কিছুই জানাচ্ছে না। আমাদের উৎকণ্ঠা বেড়েই চলেছে।”
সূত্রের খবর, বিএসএফের ডিজি ও আইজির সঙ্গে পূর্ণমের স্ত্রীর ফোনে কথা হয়েছে। কিন্তু স্বামী কেমন আছেন, সুস্থ আছেন কি না, তা নিয়ে উৎকণ্ঠা-উদ্বেগ বেড়েই চলেছে রজনীর। এরই মধ্যে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন। যোগাযোগ রাখছেন পাকিস্তানে বন্দি পূর্ণম সাউয়ের পরিবারের সঙ্গেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.