সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর (Sisir Adhikari) সাংসদ পদ (MP) বাতিলের আবেদন করার পথে এগচ্ছে তৃণমূল (TMC)। সেই দাবি তুলে লোকসভা অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে চিঠি দেওয়া হতে পারে। এর আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের টিকিটে জেতা বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের পদ খারিজের দাবি তুলে লোকসভা (Lok Sabha) স্পিকার ওম বিড়লাকে (Om Birla) চিঠি পাঠানো হয়। শিশির অধিকারীর ক্ষেত্রেও যে দল সেই পথে হাঁটছে তার পরিষ্কার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে।
অধিকারী বাড়ির মেজ ছেলে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে ধাপে ধাপে দল এবং বিধানসভার সদস্য পদ ছেড়ে দেন। তার পর বিজেপিতে যোগ দেন। তাঁর সঙ্গেই বিজেপিতে যোগ দেন সুনীল মণ্ডলও। কিন্তু তিনি এখনও সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেননি।
শুভেন্দু বিজেপি যোগ দেওয়ার কয়েক মাস পর তৃণমূলের সঙ্গে নানা টালবাহানার পর গত ২১ মার্চ পূর্ব মেদিনীপুরে এগরায় অমিত শাহের সভামঞ্চে বিজেপিতে যোগ দেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। বিজেপির হয়ে বক্তৃতাও করেন। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে তো দূরের কথা যোগ দেওয়ার পরেও তিনি সরকারি ভাবে তৃণমূলের দলীয় পদ বা সোকসভার সদস্য পদ ছাড়েননি। তাই তাঁর বিরুদ্ধেও এবার তৃণমূল সাংসদ পদ খারিজের আবেদন করতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেন। তৃণমূলের প্রতীকে সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে পদত্যাগ না করে বিজেপিতে যোগ দিলেন শিশির অধিকারী তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “একটা দলে থেকে অন্য দলের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা কার যায় না। কেউ যদি যেতে চান, যান। তবে পদত্যাগ করে যান”। সুনীল মণ্ডলের উদাহরণ টেনে তিনি আরও বলেন, “শুনছি ওঁর ছেলেও যাবেন। যেখানে খুশি সেখানে যান। কিন্তু তার আগে সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করে যান।”
সুনীল মণ্ডলের প্রসঙ্গ টেনেই দিল্লিতে দলের এক শীর্ষ নেতা ইঙ্গিত করেন, যে পথে বর্ধমান পূর্বের সাংসদের বিরুদ্ধে দল পদক্ষেপ করেছে কাঁথির সাংসদের বিরুদ্ধেও তা করা হবে। তাঁর বিরুদ্ধেও সাংসদ পদ খারিজের আবেদন করা হবে লোকসভা অধ্যক্ষের কাছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.