ভাস্কর মুখোপাধ্যায়: কলকাতা পুরভোটের (Kolkata Municipal Election 2021) বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল। পর্যুদস্ত বিজেপি। আর তারপর থেকেই পদ্মশিবিরে ভাঙন যেন লেগেই রয়েছে। বিরোধী শিবিরে ভাঙন স্বাভাবিকভাবেই শাসকদলে বাড়তি অক্সিজেন জোগাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আরও একবার বেলাগাম বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। বিজেপিকে ‘ভেড়ার দল’ বলে কটাক্ষ করলেন তিনি। বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
গত শনিবারই বিজেপির বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতির নামের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। আর সেই তালিকা প্রকাশের পর বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ (WhatsApp Group) থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার পাঁচ বিধায়ক (MLA)। বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী ও কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন।
যদিও ‘ভুল বুঝতে পেরে’ রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে পরে ক্ষমা চেয়ে নেন অম্বিকা। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ফেরানোর আরজিও জানান। এই রেশ কাটতে না কাটতেই রবিবার বাঁকুড়ার ৫ বিধায়কও একই পথে হেঁটে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে আসেন। জলপাইগুড়ির বিজেপি নেতাও রবিবারই তৃণমূলে ফিরেছেন। একের পর এক ভাঙনে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
এ প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “বিজেপি ল্যাংরার দল হাঁটতে পারে না। লোক নেই। জন নেই। ওদের দলে কে থাকবে? ওটা ভেড়ার দল।” এর আগেও একাধিকবার বিজেপির উদ্দেশে কুকথা বলেছেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। প্রতিবারের মতো এবারও তাঁর মন্তব্যের সমালোচনায় সরব গেরুয়া শিবির। তবে তাতে যে অনুূব্রত মণ্ডলের কিছুই যায় আসে না, তা তাঁর নীরবতাতেই স্পষ্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.