নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচারে গিয়ে রীতিমতো নদীর কচুরিপানা পরিষ্কার করতে দেখা গেল বনগাঁ উত্তরের প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠকে। শনিবারই ‘দিদিকে বলো’-র প্রচারে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের স্মৃতি-বিজড়িত বিভূতিঘাটে কচুরিপানা জমে থাকতে দেখে নিজেই সাফাইয়ের কাজে হাত লাগান গোপালবাবু। তাঁকে সহযোগিতা করেন দলের অন্যান্য কর্মী-সমর্থকরা।
‘দিদিকে বলো’র গেঞ্জি গায়ে নৌকায় বসে নদী থেকে কচুরিপানা টেনে তুলছেন এক ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। শনিবার সকালে নদীর ঘাটে দাঁড়িয়ে এমনই দৃশ্য তাড়িয়ে উপভোগ করলেন গোপালনগরের বাসিন্দারা। সাহায্যে এগিয়েও আসেন কেউ কেউ। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির প্রচারে গোপালনগরে যান বনগাঁ উত্তরের প্রাক্তন বিধায়ক গোপাল শেঠ। বিভূতিঘাটে যেতেই তাঁর নজরে পড়ে ঘাট ভরে ফেলেছে কচুরিপানা। ফলে ঘাট ব্যবহারে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। এরপরই কচুরিপানা পরিষ্কারের কাজে হাত লাগান প্রাক্তন বিধায়ক ও তৃণমূলের কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে হাতে হাত লাগান স্থানীয়রাও। সেই সঙ্গে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির জঙ্গলও পরিষ্কার করেন তিনি। তাঁর এই ভূমিকায় অভিভূত এলাকার বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত, লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে তৃণমূল। জনসংযোগ বাড়াতে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি শুরু করেছে শাসকদল। যে কোনও সমস্যায় এখন মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা মিলছে ফোন করলেই। সেইসঙ্গে সরকারের কাজে কোথায় ফাঁকফোকর রয়ে গিয়েছে, কোথায় ঠিকঠাক পরিষেবা মিলছে না, জনগণের কাছ থেকে এসব খবর আদায় করতে আদাজল খেয়ে লেগে পড়েছে দলের কর্মীরা। অর্থাৎ হারানো জমি পুনরুদ্ধারে একফোঁটা গাফিলতি রাখতেও নারাজ তৃণমূল নেতারা। কিন্তু তাঁদের এই প্রচেষ্টার প্রতিফলন আদৌ কি দেখা যাবে ভোটবাক্সে ? সেটাই ভাবাচ্ছে সকলকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.