জোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: এবার বেলাগাম খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও দিলীপ ঘোষকে একহাত নিলেন তিনি। ‘দিলীপ ঘোষের মতোই উনিও বদ্ধ উন্মাদ মুকুল’, এমনটাই মন্তব্য করলেন খাদ্যমন্ত্রী। উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল সভাপতির মন্তব্যতেই শুরু বিতর্ক।
নাগরিকত্ব বিলে রাষ্ট্রপতি সিলমোহর দেওয়ার পর থেকেই এই আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে গোটা দেশ। একের পর এক পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বাস, ট্রেন। নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে পথে নেমেছে বিজেপি নেতৃত্ব। জেলায় জেলায় অভিনন্দন যাত্রায় অংশ নিচ্ছেন বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা। সোমবার বনগাঁয় সিএএ-এর সমর্থনে অভিনন্দন যাত্রার আয়োজন করে বিজেপি৷ মুকুল রায়ের নেতৃত্বে মিছিলে পা মেলান বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু, বারাসত জেলা বিজেপি সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায়, দুই বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত ও বিশ্বজিৎ দাস-সহ কর্মী ও সমর্থকরা। কালীবাড়ি মোড় থেকে শুরু হয় মিছিল। শেষ হয় বনগাঁ স্টেশন চত্বরে।
অভিনন্দন যাত্রা শেষে বৈজয়ন্ত ক্লাবের মাঠে জনসভা করেন মুকুল রায়। সেখান থেকেই তৃণমূল ও মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে সুর চড়ান মুকুল। সকলকে আশ্বাস দিতে বলেন যে, “নাগরিকত্ব আইনে কারও অধিকার হরণ করা হচ্ছে না। বরং আরও কিছু মানুষ নাগরিকত্ব পাচ্ছেন।” আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় নিশ্চিত এমনটাই দাবি করেন তিনি। বলেন, “বিধানসভায় বিজেপি রাজ্যে ১৭০ টি আসন পাবে।” মুকুল রায়ের এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন। বলেন, “মুকুল দাকে অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ হিসেবে জানতাম। কিন্তু এখন দেখছি দিলীপ ঘোষের মতো মুকুল বদ্ধ উন্মাদে পরিণত হয়েছে। বিধানসভা ভোটে মুকুল বুঝতে পারবেন বিজেপি দুই অঙ্কের সংখ্যায় পৌঁছাবে না।” তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.