কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: কুলতলি, ক্যানিংয়ের এবার বহরমপুর। রাত পোহাতেই রাজ্যে ফের খুন তৃণমূল নেতা। সোমবার সাতসকালে বহরমপুরে শাসকদলের এক যুব নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
[ গুলি-ধারালো অস্ত্রের কোপে ক্যানিংয়ে খুন তৃণমূল নেতা, কাঠগড়ায় বিজেপি]
মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে শাসকদলের যুবনেতা নাজু শেখ। তিনি অঞ্চল সভাপতিও। রবিবার রাতে প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাড়িতে ফিরতে পারেননি নাজু। সোমবার সকালে গঙ্গা পেরিয়ে বহরমপুরের নিয়ালিশ পাড়া ঘাটে পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে স্কুটিতে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মাঝ রাস্তায় ওই তৃণমূল নেতার স্কুটি থামায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। রীতিমতো ঘিরে ধরে খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলির শব্দে শোরগোল পড়ে যায় বহরমপুরের নিয়ালিশপাড়া ঘাট চত্বরে। ততক্ষণে অবশ্য চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। রক্তাক্ত অবস্থায় নাজু শেখকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদ জেলা হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। হাসপাতালে নাজুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। কী কারণে, কারা গুলি চালাল, সে বিষয়ে তদন্তে নেমেছে বহরমপুর থানার পুলিশ।
এর আগে রবিবার রাতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার দক্ষিণ ২৪ পরগনায় খুন হন এক তৃণমূল নেতা ও দলের এক সক্রিয় কর্মী। সন্ধ্যায় কুলতলির জালাবেড়িয়া এলাকায় চায়ের দোকানে শাসকদলের কর্মী সুরত মণ্ডলকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। রাতে ক্যানিংয়ের সাতমুখি বাজারে তৃণমূলের তরুণ নেতা কার্তিক নস্কর ওরফে রাজুকে গুলি করে ও কুপিয়ে খুন করা হয়। গত ২৪ঘণ্টারও মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ৩ তৃণমূল কর্মী, নেতার হত্যার ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তাপ চড়ছে। অনেকের মতে, এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বহিপ্রকাশ। আবার কেউ কেউ দায় চাপাচ্ছেন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ঘাড়ে।
[ কুলতলিতে তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন, চাঞ্চল্য এলাকায়]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.