ছবি: অমিতলাল সিং দেও।
সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডে সিবিআইয়ের (CBI) হাতে প্রথম গ্রেপ্তার। সাড়ে ২১ ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন জেরার পর তৃণমূল নেতা সত্যবান প্রামানিককে গ্রেপ্তার করলেন তদন্তকারীরা। ধৃত ব্যক্তি পেশায় সরকারি চাকরিজীবী। হাইস্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী পদে কর্মরত তিনি।
ধৃত সত্যবান প্রামানিকের আদি বাড়ি ঝালদার ঝাড়খন্ড সীমানা লাগোয়া হেঁসাহাতু গ্রামে। বর্তমানে ঝালদা শহরের হাটতলার বাসিন্দা তিনি। সেখানে একটা ধাবাও রয়েছে তার। এর পাশেই নরেন কান্দুর একটা হোটেল। সত্যবান নরেনের ছায়াসঙ্গী হিসাবে এলাকায় পরিচিত। সিট সত্যবানকে কয়েকদিন আগে আটক করেছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। পরে শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেই থেকে তিনি তার হেঁসাহাতু গ্রামে। মঙ্গলবার সেখান থেকেই তাঁকে গাড়িতে করে বেস ক্যাম্পে নিয়ে যায় সিবিআই।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সত্যবানকে জেরা করে সিবিআই। এদিন তাঁকে এসডিপিওর সঙ্গে মুখোমুখি বসেও জেরা করা হয়। সিট সত্যবানকে জেরা করে কী তথ্য পেয়েছিল সেটাও জানতে চান সিবিআই আধিকারিকরা। টানা ২১ ঘণ্টা জেরা করার পর মঙ্গলবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার করা হয় সত্যবানকে। ধৃত সত্যবানের স্ত্রী বিমলা ২০১৩ সালে কংগ্রেসের টিকিটে জিতে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য হন। পরে তৃণমূলে যোগ দেন।
এই ঘটনার তদন্তে আসেন সিবিআইয়ের এসসিবি রাঁচি ইউনিটের আইজি। মঙ্গলবার সন্ধের পরে ধৃত আসিক খানকে নিয়ে তার কুটিডি গ্রামের বাড়িতে যান তদন্তকারী আধিকারিকরা। তাঁর বাড়িতে কেউ না থাকায় দু’টি তালা ভেঙে বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। রাতে সিবিআইয়ের একটি দল আসিক খানকে নিয়ে ঝাড়খণ্ডে যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.