অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: তৃণমূলের (TMC) ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির গাড়িচালকের প্রাণহানি। রবিবার সন্ধেয় ওই তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। অল্পের জন্য সভাপতি প্রাণে বাঁচলেও তাঁর গাড়িচালক এবং একজন দলীয় কর্মী গুরুতর জখম হন। সামান্য জখম হন তাঁর নিরাপত্তারক্ষী। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় গাড়িচালকের। মুর্শিদাবাদের রানিনগরের কার্তিকের পাড়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কার্তিকের পাড়ায় রানিনগর ২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শাহ আলম সরকারের একটি পুকুর আছে। বেশিরভাগ দিন বিকেলে সেখানে বসে গল্পগুজব করেন। এদিনও সেখানে গিয়েছিলেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জানান “ ফেরার জন্য রওনা দেব সেই সময় সামনে থেকে গাড়ি লক্ষ্য করে সকেট বোমা ছুঁড়ে পালিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা।” তাতে চালক-সহ দলীয় কর্মী গুরুতর জখম হন। সামান্য জখম হন নিরাপত্তারক্ষীও। রানিনগর ২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শাহ আলম সরকার জানান, “কংগ্রেস, সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাকে প্রাণে মারার জন্য সকেট বোমা ছুঁড়েছিল। সৌভাগ্য ক্রমে বেঁচে গিয়েছি।” তিনি আরও জানান, “গোধনপাড়ার ঝড়ু শেখ, বক্স এরাই বোমা মেরেছে।” ঘটনার পরেই স্থানীয় মানুষ জখমদের উদ্ধার করে রানিনগরের গোধনপাড়া ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয় আহতদের। তবে পথেই মৃত্যু হয় তৃণমূল ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির গাড়িচালকের।
এই ঘটনায় তৃণমূলের রানিনগরের বিধায়ক সৌমিক হোসেন সরাসরি কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দায়ী করে বলেন, “পায়ের তলার মাটি হারিয়ে ওরা এখন সন্ত্রাস করতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এদিকে ওই ঘটনায় রানিনগরের প্রাক্তন বিধায়ক কংগ্রেস (Congress) নেত্রী ফিরোজা বেগম জানান, “রানিনগরে তৃণমূলকে আক্রমণ করার মতো স্পর্ধা নেই বিরোধীদের। ওটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের। বছর খানেক ধরেই তৃণমূলের একটা অংশ বাড়িছাড়া। শাহ আলম যাদের নাম করছে তারা সকলেই তৃণমূলের।” পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার জানান, “ এখনও পর্যন্ত ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ২ ব্যাগ বোমাও।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.