নব্যেন্দু হাজরা: দেওয়ালে চুনকাম শুরু হয়ে গিয়েছে। আঁকা হয়ে গিয়েছে প্রতীক। শুধু প্রার্থীতালিকা ঘোষণার অপেক্ষা। পুরভোট ঘিরে সরগরম চন্দননগর।
একদিকে গত দশ বছরের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে ময়দানে নেমে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল। অন্যদিকে আরও ছন্নছাড়া চেহারা প্রকট হয়ে উঠছে বিরোধী পক্ষের। লোকসভা ভোটের সময় বিজেপির একটা হাওয়া এই শহরে উঠলেও তা এখন অতীত। স্থানীয় সংগঠন বা জনসংযোগের দিকে শতহস্ত দূরে গেরুয়া শিবির। বরং শাসকের সঙ্গে লড়াইয়ে স্থানীয় ইস্যুকে হাতিয়ার করছে লালপার্টি। তৃণমূলের তালিকায় বেশ কিছু নতুন মুখের সম্ভাবনা রয়েছে এখানে।
গঙ্গাপাড়ের এই শহরে এলে যে কেউ এখানকার উন্নয়ন মালুম করবেন। একেবারে সাজানো শহর। কিছু জায়গা বাদ দিলে বাকি অংশে ঝাঁ—চকচকে রাস্তা, বাঁধানো ফুটপাথ, রাস্তার দু’ধারে ত্রিফলা বাতিস্তম্ভ। বাড়ি বাড়ি পানীয় জল, সকাল হতেই নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি জঞ্জাল পরিষ্কারের গাড়ি পৌঁছে যাওয়া এবং সব থেকে বড় বিষয়, ভরা বর্ষাতেও জল না জমা। পরিষেবার দিক থেকে তাই বিদায়ী পুরবোর্ডকে নাগরিকরা পাস মার্কসই দিচ্ছেন। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন উন্নয়নে নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। একাধিক নতুন পরিকল্পনায় আরও সেজে উঠছে এই শহর। তাই নয়া বছরে ২২ জানুয়ারি ভোটের ময়দানে বেশ খানিকটা এগিয়ে থেকেই নামছে তৃণমূল।
তবে যেটা শাসকের গলায় কাঁটার মতো বিঁধছে, তা হল মাঝপথেই এখানকার পুরবোর্ড ভেঙে যাওয়া। শাসকদলের দলাদলিতেই ২০১৮ সালের আগস্টে পুরবোর্ড ভেঙে রাজ্য সরকার পুর-কমিশনার স্বপন কুণ্ডুকে পুরসভা পরিচালনার দায়িত্ব দেয়। পরে, ভেঙে দেওয়া বোর্ডের মেয়র রাম চক্রবর্তী এবং একাধিক মেয়র-পারিষদকে নিয়ে পুরসভা পরিচালনার কমিটি করা হয়। রামবাবু এখন পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান। প্রশাসকমণ্ডলী নিয়ে জনমানসে ভাল বার্তা যায়নি। তাই এখানে কিছু নতুন মুখের প্রার্থী দেখা যেতে পারে। আগের বার ভোটে জেতা বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর এবার ভোটে টিকিট নাও পেতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
একই সঙ্গে রয়েছে ১১টি ওয়ার্ডে সংরক্ষণের গেরো। সব মিলিয়ে শাসকদলের প্রার্থীতালিকায় এবার চমক থাকার সম্ভাবনা। ৩৩টি ওয়ার্ড রয়েছে পুরনিগমে। বিধানসভার ভোটে ২৪টি জিতে আছে তৃণমূল, একটি বিজেপি এবং আটটি আসনে বামপন্থীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.