নিজস্ব সংবাদদাতা, বনগাঁ: জনসভায় মাত্র ছ’মিনিট ভাষণ দিয়েই পালিয়েছেন। মতুয়াদের বড়মাকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা হচ্ছে। ঠাকুরনগরে পালটা জনসভায় মোদিকে আক্রমণ করলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। মন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, মতুয়াদের ঠাকুরবাড়িকে নিয়ে রাজনীতি করতে দেবেন না। জনসভায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে মোদির ‘দিদি’ সম্বোধন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী তথা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, চিটিংবাজরা বিজেপিতে গেলে সন্নাসী হয়ে যান। এই উদাহরন তুলে ধরে নাম না করে ভারতি ঘোষ ও মুকুল রায়ের কথা বলে আক্রমণ করেন ফিরহাদ হাকিম। তার কথায় চিটিংবাজরা বিজেপিতে গেলে ধোয়া তুলসীপাতা হয়ে যায়৷
[ যোগীর সভায় গিয়ে নিখোঁজ বিজেপি কর্মী, তদন্তে পুলিশ]
গত শনিবার গাইঘাটার ঠাকুরনগরে শ্রীধর ময়দানে মতুয়া মহাসংঘের সভায় হাজির ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সভাস্থলে যাওয়ার আগে ঠাকুরবাড়িতে গিয়ে মতুয়াদের বড়মা বীণাপাণিদেবীর সঙ্গে দেখাও করেন মোদি। তবে অসুস্থ বড়মার সঙ্গে বেশিক্ষণ কথা বলতে পারেননি। জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে নাগরিকত্ব বিলে তৃণমূলের সমর্থন যেমন চেয়েছেন, তেমনি উন্নয়নের প্রশ্নে এ রাজ্যের শাসকদলকে আক্রমণ করেছেন মোদি। বলেছেন, ‘জনসভার ভিড় দেখে তিনি বুঝতে পারছেন, কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিংসার আশ্রয় নিচ্ছেন।’ জনসভায় ঠাকুরবাড়ির প্রবাদপ্রতীম ব্যক্তিত্ব হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের সামাজিক অবদানের কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। সভায় বিশৃঙ্খলতার কারণে অবশ্য বেশিক্ষণ ভাষণ দিতে পারেননি মোদি। দ্রুতই সভাস্থল ছাড়তে হয় তাঁকে। সভার মাঠে ধাক্কাধাক্কিতে মহিলা-সব বেশ কয়েকজন আহত হন।
বুধবার ঠাকুরনগর হাই স্কুলের মাঠে পালটা জনসভা করল গাইঘাটা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। সভায় খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, মোদির সভা শুধু ঠাকুরনগরের লোক দিয়ে ভরিয়েছে বিজেপি। রাজ্যের অন্য জায়গা থেকে তো দূর, জেলা থেকে কোনও লোক আসেনি সভায়। এদিন জনসভায় হাজির ছিলেন মন্ত্রী ও মেয়র ফিরহাদ হাকিম, তাপস রায়, সুজিত বসু, ব্রাত্য বসু-সহ শাসকদলের নেতা ও মন্ত্রীরা। বুধবার দুর্গাপুরে মোদির পালটা জনসভা করেছে এ রাজ্যের শাসকদল।
[ সামান্য বিবাদের জের, বন্ধুর হাতে গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.