সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নদিয়ায় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতর কাজের ব্যর্থতা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় খড়গহস্ত হয়েছিলেন তিনি। যার জেরে দলের মধ্যেই সমালোচনার মুখে পড়েন সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। কিন্তু তাতেও দমছেন না তিনি। পঞ্চায়েতস্তরের অনিয়ম নিয়ে নিয়মিত মুখ খুলছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ।
নদিয়ায় প্রথম করোনা আক্রান্তের খোঁজ মেলার পর থেকেই নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের এলাকায় করোনার আপডেট দিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। প্রতিদিনই নিয়ম করে তিনি জানিয়ে দেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র এবং করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে কোথায়, কতজনের করোনা হয়েছে। যে এলাকায় নতুন সংক্রমণের খোঁজ মেলে সেই এলাকার সাধারণ মানুষ এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাদের সতর্ক করে দেন তৃণমূল সাংসদ। কিন্তু মহুয়ার সেই সতর্কবার্তা সত্বেও তেহট্টের বহু এলাকায় দেখা গিয়েছে মানুষ তথা পঞ্চায়েতকর্মীরা সেভাবে সচেতন হননি। সূত্রের খবর, স্থানীয় প্রশাসনের এই আচরণে ক্ষুব্ধ সাংসদ। শনিবার তাঁর এক ফেসবুক পোস্টে সেই ক্ষোভের খানিকটা বহিঃপ্রকাশ হল।
ফেসবুক পোস্টে তেহট্ট ব্লকের বেতাই ২ নম্বর পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত কর্মী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আসলে ওই এলাকার একজন পরিযায়ী শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ভিনরাজ্য থেকে এসে সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে না গিয়ে লুকিয়ে নিজেদের বাড়িতেই ছিলেন তিনি। যার জেরে পুরো এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করতে হয়েছে। মহুয়ার অভিযোগ, ওই এলাকার পঞ্চায়েতকর্মী এবং স্থানীয়রা জানতেন ওই ব্যক্তি লুকিয়ে বাড়িতে আছেন, কিন্তু কেউ প্রশাসনকে সতর্ক করেননি। তৃণমূল সাংসদ বলছেন, প্রশাসন প্রশাসনের কাজ করছে। কিন্তু সবার বাড়িতে পুলিশ মোতায়েন সম্ভব না। তাই স্থানীয়দের দায়িত্ব নিতে হবে। মহুয়ার স্পষ্ট ইঙ্গিত পঞ্চায়েতস্তরের নেতাকর্মীদের আরও সতর্ক হতে হবে। এই প্রথম নয়, নিজের এলাকায় করোনা মোকাবিলা এবং উন্নয়নের কাজে পঞ্চায়েতের ভূমিকা নিয়ে এর আগেও একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছেন সাংসদ। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, মহুয়া চাইছেন পঞ্চায়েত স্তরে দলের সংগঠন আরও স্বচ্ছ হোক। তাতে দলের ভাবমূর্তি ফের উজ্বল হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.