Advertisement
Advertisement
Migrant Labourers

বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর হামলা! যথাযথ শাস্তির দাবিতে শাহকে চিঠি পাঠানের

অমিত শাহকে লেখা চিঠিতে পাঠান অন্তত চারদফা দাবি তুলেছেন।

TMC MP Yusuf Pathan writes letter to Amit Shah demanding proper punishment of the accused involved in torturing on migrant labourers in Odissa
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:May 2, 2025 6:28 pm
  • Updated:May 2, 2025 6:31 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওড়িশায় বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর হামলা, অত্যাচারের একাধিক অভিযোগ। আগেকার সমস্ত ঘটনার কথা উল্লেখ করে এবার কেন্দ্রকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুললেন তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠান। এনিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে ইউসুফ পাঠান অন্তত চারদফা দাবি জানিয়েছেন। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তিদান, ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রের তরফে তদন্তকারী দল পাঠানো এবং ফিরে আসা শ্রমিকদের জন্য ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার দাবি তুলেছেন বহরমপুরের সাংসদ। চিঠিতে পাঠানের আরও দাবি, শুধুমাত্র পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তাই নয়, মানবিকতার স্বার্থেও এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

Advertisement

গত বছর থেকে প্রায়শয়ই ওড়িশার বিভিন্ন প্রান্তে কাজ করতে গিয়ে বাংলার শ্রমিকরা হামলার মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ। কখনও কখনও তা ধর্মীয় কারণও হয়েছে। সেখান থেকে ‘অত্যাচারিত’ হয়ে তাঁরা ফেরার পর সেসব বর্ণনা করেছেন নিজেদের মুখে। শুধু এখন নয়। অভিযোগ, ওড়িশায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এ ধরনের অত্যাচার বেড়েছে। এনিয়ে আগেই সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাজিকে চিঠি লিখে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ তথা বর্ষীয়ান নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। এবার সরব হলেন বহরমপুরের তৃণমূল সাংসদ ইউসুফ পাঠান।

অমিত শাহকে লেখা চিঠিতে পাঠানের বক্তব্য, “বাংলা থেকে কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর যখনতখন হামলা হচ্ছে, তাঁদের মোবাইল ফোন এবং রোজগার করা অর্থ লুট করা হয়েছে, এমনকী কারও কারও আধার কার্ডও ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে। যেখানে তাঁরা থাকেন, সেই বাসস্থানে হামলা চালিয়ে জোর করে মাথার উপরের ছাদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে একই ধরনের হিংসার ঘটনা ঘটেছিল ওড়িশায়। এবার নতুন করে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হচ্ছে।’’ তাঁর আরও দাবি, ধর্মীয় এবং আঞ্চলিক পরিচয়ের ভিত্তিতে শ্রমিকদের এভাবে নিশানা করা মোটেই কাম্য নয়। পাঠানের কথায়, ‘‘এই ঘটনা ভারতের সংবিধানে একতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের মৌলিক নীতির পরিপন্থী।’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement