ফাইল ছবি।
স্টাফ রিপোর্টার, বালুরঘাট ও মালবাজার: একই দিনে বালুরঘাট এবং মালবাজার দু’টি সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয় তৃণমূলের। দু’জায়গাতেই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল ঘাসফুল শিবির। শনিবার বালুরঘাট ব্লকের চকভৃগু অঞ্চল কৃষি সমিতির জয়ের পর একটি সভা করা হয়। মোট ছ’টি আসনের একটিতেও প্রার্থী দিতে পারেনি বিরোধী বিজেপি ও বামেরা। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই জয়ী হন তৃণমূল প্রার্থীরা।
জয়ের পরই সভা করে কমিটি গঠন করা হয়েছে এদিন। এদিকে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গড়ে দলের এমন অবস্থায় কার্যত অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। নয়া এই কৃষি সমবায় সমিতির সম্পাদক বিভাসচন্দ্র বক্সি জানান, চকভৃগু গ্রাম পঞ্চায়েত এবং তিনটি ওয়ার্ডের সমস্ত কৃষকদের স্বার্থরক্ষায় তাঁরা কাজ করবেন। মাত্র ৪ শতাংশ হার সুদে তাঁরা কৃষকদের ঋণ দেবেন। বেশি সুদে অন্য কোনও জায়গায় ঋণ না নিয়ে কৃষকরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই ঋণ পাবেন।
পাশাপাশি, এদিন জলপাইগুড়ি জেলার মাল ব্লকের কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের নেওড়া সমবায় সমিতির নির্বাচনে গো-হারা হারল বিজেপি। এখানে আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল দুটি আসন জিতে গিয়েছিল। এদিন চারটি আসনের নির্বাচন হয়। নির্বাচন শেষে দেখা যায় চারটি আসনেই বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। এই সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যেই মুলত লড়াই হয়। সবক’টি আসনই বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। স্বাভাবিকভাবেই আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এদিন সমবায় সমিতির নির্বাচনের এই ফলাফল অনেকটাই বিজেপিকে ব্যাকফুটে ফেলে দিল বলে রাজনৈতিক মহলের ধারণা।
যদিও মাল ব্লকের বিজেপির নেতারা দ্রুত সভা ডেকে এনিয়ে পর্যালোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন। শনিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই উল্লাসে মেতে ওঠে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা। তৃণমূলের কুমলাই অঞ্চল সভাপতি রাজা শর্মা বলেন, ‘‘বিজেপিকে আমরা গো-হারা হারিয়েছি। ছ’টি আসনেই আমাদের প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন।’’ বিজেপির মাল বিধানসভার কনভেনর রাকেশ নন্দী বলেন, ‘‘আমাদের প্রার্থীরা কঠিন লড়াই করেছেন। তবে ফল কেন এমন হল তা পর্যালোচনা করে দেখা হবে।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.