রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: ভোট পরবর্তী হিংসার ‘শিকার’ আরও এক। সুইসাইড নোটে বিস্ফোরক অভিযোগ করে আত্মঘাতী এক তৃণমূল কর্মী।
মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম চন্দন সামন্ত। রামনগর বিধানসভার রামনগর এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত হলদিয়া ২ অঞ্চলের কনিওরা দক্ষিণ বুথের তৃণমূল কর্মী ছিলেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই বুথে তৃণমূল হেরে যায়। তারপরই বিরোধীদের দিকে আঙুল তুলে জীবনের চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন চন্দন।
মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ বাড়ির লোক দেখতে পান আত্মহত্যা করেছেন চন্দন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, চন্দন সামন্তর দেহের পাশে একটি সুইসাইড নোট পড়েছিল। তাতে নির্মল সামন্ত বলে একজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি এলাকার বিজেপি কর্মী হিসেবেই পরিচিত। সুইসাইড নোটে লেখা ছিল, “আমি চন্দন সামন্ত। আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী” নির্মল সামন্ত (অপু)। পিতা প্রভাত সামন্ত।
তৃণমূলের তরফে হলদিয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান শেখ রবীন মহম্মদ বলেন, ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল করতেন চন্দন সামন্ত। তৃণমূলের দখলেই ছিল এই এলাকা। কিন্তু এবার পঞ্চায়েতে হারে শাসক দল। দিন দুয়েক আগেও চন্দন জানিয়েছিলেন, তাঁকে নানারকম ভাবে মানসিক অত্য়াচার করা হচ্ছিল। যদি কেউ সত্যিই আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়ে থাকেন, তাহলে যেন অবশ্যই আইনি পথে তাঁর কড়া শাস্তি হয়। একই দাবি তুলে সরব হন তৃণমূলের নব নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য কল্যাণ জানা।
কাঁথি সাংগঠনের বিজেপির নেতা অসীম মিশ্র পালটা দাবি করেন, এক আত্মহত্যা নিয়ে তৃণমূল রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। চিরকুটে বিজেপির কার্যকর্তার নাম লিখে দিয়ে তৃণমূল নেতারা যড়যন্ত্র করছে। মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। চন্দন সামন্ত অনেকদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেখান থেকেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। এভাবে মিথ্য অভিযোগ দিয়ে বিজেপিকে রোখা যাবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.