ছবি: প্রতীকী
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: একাকীত্ব কাটাতে সতেরো বছরের কিশোরীকে বিয়ে করে শ্রীঘরে প্রৌঢ়। ধৃতের নাম ময়দান আলি। বয়স ৬৭ বছর। বাড়ি জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বনিজের হাট এলাকায়। শনিবার রাতে উত্তর দিনাজপুরের এক কিশোরীকে বিয়ে করে বাড়ি নিয়ে আসেন ময়দান। রবিবার সকালে ঘটনা জানাজানি হতে নাবালিকা বিয়ের খবর জানতে পারে পুলিশ। কোতোয়ালি থানা থেকে পুলিশ গিয়ে ময়দান আলিকে গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি উদ্ধার করা হয় ওই কিশোরীকে। তাকে আপাতত হোমে রাখার হয়েছে।
চা পাতার ব্যবসায়ী ময়দান আলি। ছেলে ও মেয়ে মিলিয়ে পাঁচ সন্তান রয়েছে তাঁর। যদিও ছেলে ও মেয়ে সকলেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বছর খানেক আগে স্ত্রীও প্রয়াত হন। তার পর থেকেই একাকিত্বে ভুগছিলেন তিনি। তখনই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। ময়দান আলি জানিয়েছেন, স্ত্রীর মৃত্যুর পর সংসারে মন টিকছিল না তাঁর। ক্রমশ একাকিত্ব তাঁকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরছিল। তাই বেশ কিছুদিন ধরেই এর থেকে মুক্তির পথ খুঁজছিলেন তিনি। তার উপর ছেলেদের সম্পত্তি লিখে দিলেও তাঁরা ঠিকঠাক দেখাশোনা করছিলেন না বলেও অভিযোগ তোলেন ময়দান। এও বলেন, তাঁর খাওয়াদাওয়ার সমস্যা হচ্ছিল। এরপরই বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন।
এরপর চোপড়ায় গিয়ে নিজেই নিজের বিয়ে ঠিক করেন বছর ৬৭-র ময়দান আলি। তিনি জানিয়েছেন, ২৯ বছরের এক যুবতিকে তিনি পছন্দ করে এসেছিলেন। কিন্তু বিয়ের সময় দেখেন বদলে গিয়েছে পাত্রী। তাঁর সামনে উপস্থিত করা হয় ১৭ বছরের এক কিশোরীকে। তার সঙ্গে নাকি বিয়েও দেওয়া হয় ময়দানের। এই ঘটনার পর অভিযুক্ত ময়দানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর ময়দান জানান, আগে জানলে নাবালিকা বিয়ে করতেন না তিনি। যদিও ময়দানের বক্তব্যকে আমল দিতে রাজি নয় পুলিশ। কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার জানান, নাবালিকা বিয়ের অভিযোগে প্রৌঢ়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাবালিকাকে হোমে রেখে নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.