বাবুল হক, মালদহ: ধর্ষণের পর অভিযুক্ত যুবক কেরোসিন ঢেলে মহিলার গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল। মিটিয়ে দিতে চেয়েছিল পাপের প্রমাণ৷ নিজের মৃত্যু নিশ্চিত জেনে, ধর্ষককেও চরম শাস্তি দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন ধর্ষিতা৷ জ্বলন্ত অবস্থায় তিনি জাপটে ধরেন অভিযুক্তকে। আর সেই আগুনে পুড়েই মৃত্যু হল অভিযুক্তের। এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই এখন চিকিৎসাধীন হাসপাতালে। সোমবার রাতে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার সাক্ষী থাকল মালদহের মানিকচক থানা এলাকার মথুরাপুর।
[শস্য ভাঙানোর ক্রাশারে পিষ্ট হয়ে প্রাণ গেল যুবকের ]
জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে স্বামীকে হারান ধর্ষিতা মহিলা। স্থানীয় সুভাষ কলোনি এলাকায় বসবাসকারী ওই মহিলার চার মেয়ে রয়েছে। এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। দুই মেয়ে পড়াশোনার জন্য স্কুলের আবাসনে থাকে। আর এক মেয়ে কাজের জন্য বাইরে থাকে। বাড়িতে ওই মহিলা ছাড়াও তাঁর এক অন্ধ দেওর থাকেন। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই স্বামীহারা ওই মহিলাকে উত্তক্ত করত পিন্টু শেখ নামে পাড়ারই এক যুবক। অভিযোগ, সোমবার সন্ধেয় মহিলার বাড়িতে ঢুকে পড়ে পিন্টু। তাঁর উপর চড়াও হয় এবং ধর্ষণ করে৷ নিগৃহীতার পড়শিরা জানান, মহিলা সোমবার রাতে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় আচমকাই চিৎকার করতে করতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। এরপর পড়শিরাই দ্রুত মহিলার গায়ের আগুন নিভিয়ে ফেলেন।
[মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় খুন ব্যবসায়ী, বাড়ির কাছে মিলল মৃতদেহ]
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মহিলা ও অভিযুক্ত যুবককে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু মালদহ মেডিক্যালেই অভিযুক্ত পিন্টুর মৃত হয়। পুলিশের কাছে মহিলার অভিযোগ করেন, পিন্টু শেখ দীর্ঘদিন ধরেই তাঁকে উত্ত্যক্ত করত। সোমবার রাতে ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে ঢুকে পড়ে পিন্টু৷ তাঁকে জোর করে ধর্ষণ করে। এরপর কেরোসিন তেল ঢেলে তাঁর গায়ে আগুন দিয়ে দেয়। কিন্তু ধর্ষককে উপযুক্ত শাস্তি দিতে তাকে জাপটে ধরেন তিনি। মানিকচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, মালদহ মেডিক্যালে ভরতি ওই মহিলাকে দ্রুত সুস্থ করার চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। সুস্থ হলেই তাঁকে তদন্তের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.