ফাইল ছবি।
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: আগেই বাতিল হয়েছিল একাধিক ট্রেন। রেমালের ধাক্কায় সকাল নটা পর্যন্ত সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল পরিষেবা। তবে নির্ধারিত সময়ের পরই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সামলে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় শুরু হল যাত্রী পরিষেবা। স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন যাত্রীরা। তবে শিয়ালদহ-হাসনাবাদ শাখায় এখনও বন্ধ পরিষেবা।
রেল সূত্রে খবর, রবিবার রাত এগারোটার পর বন্ধ হয়ে যায় পরিষেবা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে রয়েছে লোকাল ট্রেন। বিভিন্ন ট্রেনের মধ্যে আটকে বহু যাত্রী। সকাল ছয়টা পর্যন্ত ট্রেন বন্ধ থাকার কথা ছিল প্রাথমিকভাবে। সময় বাড়িয়ে তা সকাল নটা পর্যন্ত করা হয়েছে। সমস্যায় বহু যাত্রী। সকাল থেকেই বিভিন্ন স্টেশনে ভিড় জমান নিত্যযাত্রীরা। পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়ায় বিপাকে পড়েন প্রায় সকলেই। তবে সকাল নটার পর থেকে ফের স্বাভাবিক হয় পরিষেবা। প্রথম ছাড়ে ক্যানিং লোকাল।
তবে পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় সোমবারও ১০টি ট্রেন বাতিল। বাতিল করা হয়েছে শিয়ালদহ-সোনারপুর লোকাল, বারুইপুর-লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল,শিয়ালদহ-বারুইপুর লোকাল, সোনারপুর-ডায়মন্ড হারবার লোকাল, ডায়মন্ড হারবার-বারুইপুর লোকালও বাতিল। দক্ষিণ-পূর্ব রেলে আপ ও ডাউনে হাওড়া-দিঘা তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেস, মেচেদা-দিঘা ইএমইউ স্পেশাল বাতিল। পরিষেবা স্বাভাবিক হতে আর কিছুটা সময় লাগবে বলেই বলেই রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে বাংলার উপকূল ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করে। তার প্রভাবে প্রায় ৯০-১২০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইতে শুরু করে। সঙ্গে বৃষ্টি। কলকাতার হাওয়ার গতিবেগ তুলনামূলক বেশ কিছুটা কম ছিল। তবে নাছোড় বৃষ্টি থেকে এখনই রেহাই মেলার কোনও সম্ভাবনা নেই। কলকাতার বিভিন্ন রাস্তা জলমগ্ন। বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়েছে গাছ। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের দাবি, কলকাতায় ছোট বড় মিলিয়ে মোট ৫৮টি গাছ ভেঙে পড়েছে। যদিও গাছ সরিয়ে রাস্তা ফাঁকা করার কাজ চলছে। একে তো ভরা কোটালের দাপট আবার তার উপর অঝোর বৃষ্টি। সবমিলিয়ে জলযন্ত্রণা দূর হতে কিছুটা সময় লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.