ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাতিল করা যাবে না ভোরের ট্রেন। যাত্রীদের সুবিধার্থে চালাতে হবে সমস্ত লোকাল। এই দাবি তুলেই বুধবার ভোর থেকে শুরু হয়েছে রেল অবরোধ। যার জেরে শিয়ালদহের দুই শাখাতেই রেল পরিষেবা ব্যাহত। ফলে কর্মব্যস্ত দিনে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার নিত্যযাত্রীরা।
এদিন শিয়ালদহ-ক্যানিং লাইনে ভোর ৩টে ৪৫ মিনিটের ট্রেন কেন বাতিল করা হয়েছে, সে প্রশ্ন তুলে শুরু হয় রেল অবরোধ। তালদি স্টেশনে রেলের লাইন আটকে যাত্রীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরপর তিনটি ট্রেন না থাকায় আটকে পড়েন বহু মানুষ। তাঁদের দাবি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গা থেকে কলকাতায় কাজ করতে আসেন তাঁরা। কিন্তু ভোরের ট্রেন না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন। আগের মতোই ট্রেন পরিষেবা না মিললে অবরোধ তোলা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন যাত্রীরা।
একই পরিস্থিতি শিয়ালদহ বনগাঁ লাইনের ঠাকুরনগর স্টেশনের। সেখানে ফুল চাষি ও বিক্রেতারা ফুলের ঝুড়ি রেল লাইনে রেখে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। পরিচারিকা থেকে ফুল বিক্রেতা, যাঁরা প্রতিদিন উপার্জনের জন্য শহর কলকাতায় আসেন, তাঁদের দাবি, এভাবে ভোরের ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হলে তাঁদের রোজগারে টান পড়বে। সংসার চালাতে সমস্যায় পড়তে হবে তাঁদের। তাই আগের মতোই ট্রেন চালাতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুই শাখাতেই কাজে নেমেছে GRP। রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চলছে আলোচনা।
উল্লেখ্য, রাজ্যে করোনার প্রকোপ বাড়ায় ৩ জানুয়ারি থেকে কড়া বিধিনিষেধ লাগু হয়েছে। প্রথমে ঠিক হয়েছিল সন্ধে ৭টা পর্যন্ত চলবে লোকাল ট্রেন। পরে যাত্রীদের সমস্যার কথা ভেবে তা বাড়িয়ে রাত ১০টা করা হয়। অন্যদিকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ থাকায় তার আগে কোনও ট্রেন চলছে না। আর তাতেই যাবতীয় সমস্যা। রেলের তরফে CRPO একলব্য চক্রবর্তী জানান, নিত্যযাত্রীদের অসুবিধার বিষয়টা তাঁরা বুঝতে পারছেন। কিন্তু তাঁদের হাত-পা বাঁধা। রাজ্য সরকারের নাইট কারফিউর নিয়ম মেনেই ভোর ৫টার পর পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। সংক্রমণ ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ। কিন্তু যাত্রীরা কোনও ব্যাখ্যা শুনতে নারাজ। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে রেল কর্তৃপক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.