সুব্রত বিশ্বাস: করোনা মহামারীর আবহেও পণ্য পরিবহণের দরুণ রেলের আয় বেড়েছে। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা সিইও সুনীত শর্মা যখন এনিয়ে প্রশংসা করছেন তখন রেলে নির্ধারিত ক্ষমতার চেয়ে অধিক পণ্য বহন করে বিপজ্জনক পরিস্থিতি ডেকে আনার জন্য তদন্ত করছে হাওড়া ডিভিশনের কমার্শিয়াল বিভাগ।
সম্প্রতি ট্রেনের লাগেজ ভ্যানে বহন ক্ষমতার বেশি পণ্য বোঝাই করায় গুয়াহাটিগামী কামরূপ এক্সপ্রেস অল্পের জন্য লাইনচ্যুত হতে গিয়ে রক্ষা পায়। গার্ড বিষয়টি বুঝতে পেরে নিউ আলিপুরদুয়ারে লাগেজ ভ্যান পরীক্ষা করে দেখতে পান ৩ টন ৯ কুইন্টালের জায়াগায় লাগেজে তোলা হয়েছে ৬ টন ৮ কুইন্টাল পণ্য। বিপজ্জনর পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানেই স্টেশন কর্তৃপক্ষকে ডেকে বাড়তি পণ্য নামিয়ে দেওয়া হয় মাঝপথে। গত ১০ এপ্রিল হাওড়া পূর্ব রেলের আউটওয়ার্ড গোডাউন থেকে এই পণ্য তোলা হয়েছিল। লাগেজ ভ্যানটি লিজে থাকলেও সেদিন লিজের তেমন মাল না থাকায় রেলের গোডাউনই থেকেই পণ্য তোলা হয়। হাওড়ার ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার গোরা বোস জানান, ট্রেন দুর্ঘটনায় পড়ার সম্ভবনা না থাকলেও বাড়তি পণ্য তোলাটা চরম বেআইনি। এজন্য তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে রেল।”
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, প্রায় সব লাগেজ ভ্যানেই বেশি পণ্য বোঝাই করা হয়। তবে বাড়তি এই পণ্যের কোনও রেকর্ড থাকেনা। লালুপ্রাসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন রাস্তার মাঝে ট্রেন দাঁড় করিয়ে এই বেআইনি কাজ রুখতে চেকিং হত। এতে সাময়িকভাবে ফলও পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এতকিছুর পরও পরিস্থিতির বদল হয়নি বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন কর্মীদের একাংশ। উল্লেখ্য, বছরখানেক আগে হাওড়ায় পাঞ্জাব মেলের পণ্যবাহী কামরায় পণ্য আসে। হাওড়া তা খালাস না হয়ে ফের মুম্বই মেলের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। ভুসাওয়ালের কাছে গিয়ে ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। তদন্তে জানা যায়, বহন ক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ পণ্য বোঝাই করা হয়েছে। সেই অপরাধে হাওড়া পার্সেলের এক কর্মীকে সাময়িকবাবে বরখাস্ত করা হয় বলে জানা যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.