ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, বারাসত: আস্থা ভোট প্রক্রিয়া শেষে ফের নৈহাটি পুরসভা নিজেদের দখলে রাখল তৃণমূল। বিজেপির কোনও কাউন্সিলর ভোটে অংশ না নেওয়ার ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছে শাসকদল। ২৪-০ ফলাফলে এবার নৈহাটি পুরসভা শাসক শিবিরের দখলে। জয় নিশ্চিত ছিল, দাবি শাসকদলের।
২৩ মে লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অনেকেই। সেই দলে ছিলেন তাবড় তাবড় নেতা, কাউন্সিলররাও। সেই সময়ই দলত্যাগ করেছিলেন নৈহাটি পুরসভার ১৯ জন কাউন্সিলর। এরপরই ১৮ জন অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। সেই সময় তৃণমূল কাউন্সিলরদের সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩। কাজ চালাতে তড়িঘড়ি পুরসভায় প্রশাসক বসায় রাজ্য সরকার। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে যায় বিজেপি। এরপর ফের দলে ফেরেন ১০ তৃণমূল কাউন্সিলর। ২৫ সেপ্টেম্বর বিজেপির করা সেই মামলার রায় শোনায় আদালত। বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দেন ২১ দিনের মধ্যে জেলাশাসকের কার্যালয়ে আস্থা ভোট করাতে হবে। সেই নির্দেশ অনুযায়ী ৩০ সেপ্টেম্বর জেলাশাসককে চিঠি দেন তৃণমূল পুরপ্রধান। এরপরই ১৬ অক্টোবর ভোটের দিন ধার্য করেন জেলাশাসক।
সেই মতোই বুধবার সকাল থেকেই ৩১ আসনের নৈহাটি পুরসভার ভোট প্রক্রিয়ার জন্য কড়া নিরাপত্তায় মোড়া হয়েছিল বারাসত জেলাশাসকের কার্যালয়। কিন্তু ২৩ জন তৃণমূল কাউন্সিলর ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নিলেও বিজেপির তরফে দেখা মিলেছে মাত্র ১ জনের। তিনিও আবার ভোট দিয়েছেন তৃণমূলকে। ফলে ২৪-০ ভোটে অর্থাৎ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফের নৈহাটি পুরসভা দখলে রাখল তৃণমূল। ফল প্রকাশের পর উচ্ছ্বসিত পুরপ্রধান। প্রথম থেকেই পুরসভা নিজেদের দখলে থাকবে বলে নিশ্চিত ছিলেন, এমনটাই জানালেন পুরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.