সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমাজের সাথে আইনি লড়াইয়ে জিতলেও, নতুন চ্যালেঞ্জ ইশরাত জাহানের সামনে। সেই ইশরাত জাহান, যাঁর আবেদনের উপর ভিত্তি করেই তিন তালাক প্রথা অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই ইশরাত জাহান এখন পুলিশের দ্বারস্থ। তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। পুলিশের কাছে ছেলে মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় নিজের স্বামীকেই দায়ী করেছেন তিনি। অভিযোগও দায়ের করেছেন তাঁর বিরুদ্ধেই।
[‘পাকিস্তানে থাকলেও দাউদকে ধরতে ভারতকে কেন সাহায্য করা হবে?’]
অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় ইশরাতের ছেলে ও মেয়ে। ছেলে জৈহস আলম এবং মেয়ে সাহিদা খাতুনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, এই মর্মে হাওড়ার গোলাবাড়ি থানায় ডায়েরিও করেছেন তিনি। প্রাথমিকভাবে পুলিশ খোঁজ করছে, তিন তালাকের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলাতেই কি এই ঘটনা না এর পিছনে রয়েছে কোনও পারিবারিক কারণ?
[মহিলা ঘটিত অপরাধে শীর্ষে বিজেপির নেতারা, সমীক্ষায় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির]
শীর্ষ আদালতের তিন তালাক মামলার রায় ঘোষণার দুদিন পরেই, নিজের ও তার পরিবারের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ইশরাত। কারণ, রায়ের পরই সামাজিক বয়কটের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। পড়তে হয় কড়া সমালোচনার সামনে। সমাজ তো বটেই, সমালোচনার মুখে পড়তে হয় নিজের পরিবারেরও। তাঁর বিরুদ্ধে নানারকমের কুৎসা রটাচ্ছেন প্রতিবেশিরা। এমনকি, চরিত্রহননের চেষ্টাও হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তাঁকে ইসলামের শত্রু, পুরুষবিরোধীও আখ্যা দেওয়া হয়।
[আমি নপুংসক, সিবিআই আদালতকে জানিয়েছিল ধর্ষক বাবা রাম রহিম]
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে দুবাই থেকে ফোনে ইসরাতকে তিন তালাক দেন তাঁর স্বামী। জোর করে নিয়ে চলে যাওয়া হয় তাঁর চার ছেলেমেয়েকেও। বিয়ের সময় ইসরাত পণ বাবদ যে টাকা পেয়েছিলেন, সেই টাকাতেই হাওড়ার পিলখানার ডবসন রোডে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন তাঁর স্বামী। সেই ফ্ল্যাটেই পরিবারের সঙ্গে থাকেন ইশরাত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.