সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হলদিয়ায় নদীর পাড় থেকে ২ মহিলার দগ্ধ দেহ উদ্ধারের পাঁচদিন পর রহস্যভেদ করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, রীতিমতো পরিকল্পনামাফিক ডেকে নিয়ে গিয়েই সম্পর্কে মা-মেয়ে ওই ২ জনকে খুন করেছিল সাদ্দাম হোসেন নামে এক যুবক। অভিযুক্ত সাদ্দাম ও তার সাগরেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের।
সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনার নিউ বারাকপুরের বাসিন্দা মৃত রিয়া ও তাঁর মা রমা। একটি মেসেজ পার্লারের সূত্র ধরে রিয়ার সঙ্গে পরিচয় হয় সাদ্দামের। বিবাহিত সাদ্দাম পরিচয় লুকিয়েই রিয়ার সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন এভাবে চললেও হঠাৎই সাদ্দামকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করে রিয়া ও রমাদেবী। তাঁদের থেকে রেহাই পেতেই খুনের ছক কষে সাদ্দাম। গোটা ঘটনায় তাঁর সঙ্গী ছিল শেখ মনজিল। পরিকল্পনামাফিক ১৭ ফেব্রুয়ারি এসকর্ট সাভির্সের সঙ্গে যুক্ত রিয়া ও রমাদেবীকে হলদিয়া ডেকে পাঠায় সাদ্দাম। দুর্গাচকের একটি বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। সেখানে মা-মেয়ের খাবারের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে দেওয়া হয়। এরপর জীবিত অবস্থাতেই তাঁদের নিয়ে আসা হয় নদীর পাড়ে। জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। ১৮ ফেব্রুয়ারি সকালে জোড়া দেহ জ্বলতে দেখে হলদিয়া থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। শুরু হয় তদন্ত।
কিন্তু কোনও তথ্যই ছিল না তদন্তকারীদের কাছে। বাধ্য হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নেন তাঁরা। একটি কানের দুলের সূত্রধরেই মৃতদের পরিচয় জানা যায়। মেলে ফোন নম্বরও। ফোনের কললিস্ট খতিয়ে দেখতেই হদিশ মেলে সাদ্দামের। পুলিশের দাবি, এরপরই তাদের জেরা শুরু করে তদন্তকারীরা। চাপের মুখে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় সাদ্দাম। তাদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয় সাদ্দাম ও তার সাগরেদ শেখ মনজুরকে। রবিবার তাদের আদালতে তোলা হলে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তবে সত্যিই বিয়ের চাপ থেকে মুক্তি পেতেই খুন? তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.