ধীমান রায়, কাটোয়া: টোটো ও ট্রাক্টরের মুখোমুখি ধাক্কায় প্রাণ হারালেন দু’জন৷ নিহতদের মধ্যে একজন কলকাতার বাসিন্দা৷ আত্মীয় বাড়ি থেকে ফেরার পথে এই বিপত্তি ঘটে৷ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন মোট ছ’জন৷ তাঁরা প্রত্যেকেই কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ বুধবার মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি ঘটে বর্ধমান-কাটোয়া রাজ্য সড়কের কাটোয়ার গাঙ্গুলিডাঙ্গায়৷
শ্রীখণ্ড গ্রাম থেকে টোটোয় চড়ে কাটোয়ার দিকে আসছিলেন এক শিশু-সহ ছ’জন। নবান্ন উৎসবে যোগ দিয়ে আত্মীয়ের বাড়ি ফিরছিলেন কেউ, আবার কেউ বেড়িয়েছিলেন ব্যক্তিগত কাজে৷ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান-কাটোয়া রোডে গাঙ্গুলিডাঙা পার হতেই টোটোর সামনে একটি গরু চলে আসে। চালক পাশ কাটাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই টোটোটি উলটে যায়। ঠিক সেই সময় বিপরীত দিক থেকে আসছিল একটি ইটবোঝাই ট্রাক্টর। নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে উলটো দিক থেকে আসা ট্রাক্টরটি টোটোয় ধাক্কা মারে। ট্রাক্টরের চাকায় পিষে যায় টোটোয় থাকা দুই যাত্রীর দেহ৷ এরপর ট্রাক্টরটিও উলটে যায়৷
ব্যস্ত সময়ে দুর্ঘটনা দেখে জড়ো হয়ে যান স্থানীয়রা৷ তাঁরাই খবর দেন পুলিশে৷ ততক্ষণে ঘটনাস্থলেই কার্তিক সাহা এবং রবীন্দ্রনাথ প্রামাণিক নামে দু’জন টোটোযাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন৷ জানা গিয়েছে, বছর বত্রিশের নিহত কার্তিক, উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ার বাসিন্দা৷ মুর্শিদাবাদের পাঁচথুপির বাসিন্দা নিহত রবীন্দ্রনাথ প্রামাণিক। তাঁর বয়স ৬২ বছর৷ নবান্ন উৎসব সেরে কাটোয়ার শ্রীখণ্ডে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে বলেই পুলিশসূত্রে খবর। এই দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন টোটোয় থাকা পাঁচ যাত্রী, ট্রাক্টরচালক-সহ মোট ছ’জন৷ স্থানীয় বাসিন্দারাই তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতির বন্দোবস্ত করেন৷ আহতেরা হলেন সুমিতা সাহা এবং তাঁর ছেলে বছর আটেকের অরিন্দম৷ দু’জনেই ওই এলাকারই বাসিন্দা৷ এছাড়াও রুমা প্রামাণিক, রেবা প্রামাণিক এবং ট্রাক্টর চালক উৎপল সর্দার গুরুতর চোট পেয়েছেন। ওই ট্রাক্টরের চালক মঙ্গলকোটের মাথরুনের বাসিন্দা৷ পুলিশ দুর্ঘটনাগ্রস্ত টোটো এবং ট্রাক্টরটি বাজেয়াপ্ত করেছে৷ দুর্ঘটনার পর থেকে পলাতক টোটোচালক৷ তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ৷
ছবি: জয়ন্ত দাস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.