বাবুল হক, মালদহ: মালদহে গিয়ে গ্রেপ্তার দুই বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও নিশীথ প্রামাণিক। CAA বিরোধী বিক্ষোভের জেরে মালদহের ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশনগুলি পরিদর্শনে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন দুই বিজেপি সাংসদ-সহ দলের কর্মী-সমর্থকরা। বিনা অনুমতিতে পরিদর্শনের চেষ্টা ও পুলিশি বাধা না মানার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় দুই সাংসদকে। বর্তমানে তাঁদের ইংরেজবাজার থানায় রাখা হয়েছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল(CAB) আইনে পরিণত হওয়ার পর থেকেই CAA ও NRC ইস্যুতে তোলপাড় গোটা রাজ্য। আইনের বিরোধীতায় একের পর এক ভাঙচুর করা হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন স্টেশনে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক ট্রেন। রোষানল থেকে বাদ যায়নি বাসও। দিনভর অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে জাতীয় সড়ক। প্রবল ভোগান্তির শিকার হয়েছেন রাজ্যের মানুষ। একই ছবি দেখা গিয়েছিল মালদহের বিভিন্ন জায়গায়। ভালুকা স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। হরিশচন্দ্রপুরেও চলে হামলা। অশান্তির আবহ কিছুটা স্বাভাবিক হতেই বুধবার ভালুকা ও হরিশচন্দ্রপুর পরিদর্শনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। সেই মতো বুধবার দুপুর দুটো নাগাদ দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে মালদহের পুড়াটোলির বিজেপির কার্যালয় থেকে ভালুকার উদ্দেশে রওনা দেন দুই সাংসদ।
কিন্তু কার্যালয়ের মাত্র ১ কিলোমিটার ব্যবধানে চারশো বিশ মোড়ে তাঁদের পথ আটকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেখানেই পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে খগেন মুর্মু ও নিশীথ প্রামাণিক। এরপরই রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বিজেপির সাংসদ ও কর্মীরা। সেই সময়ই দুই সাংসদকে গ্রেপ্তার করে ইংরেজবাজার থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করে বিজেপির কর্মীরা। প্রতিবাদে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক আটকে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তাঁরা। এখনও চলছে বিক্ষোভ। জাতীয় সড়কে যান চলাচল কার্যত ব্যাহত। প্রবল সমস্যায় সাধারণ মানুষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.