শুভদীপ রায়নন্দী, শিলিগুড়ি: পাচারের ছক বানচাল। কুকর্মের আগেই পূর্ণ বয়স্ক মহিলা চিতাবাঘের চামড়া-সহ বনদপ্তরের জালে ধরা পড়ল দুই পাচারকারী। পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন আগে চিতাবাঘটিকে হত্যা করার পর সেটির চামড়া ও দেহাংশ বিক্রি করার জন্য ফন্দি আঁটছিলেন অভিযুক্তরা। সেই পরিকল্পনামাফিক চলছিল সবকিছু। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হল না৷ চিতাবাঘের চামড়া পাচারের আগেই দার্জিলিংয়ে বনদপ্তরের আধিকারিকদের হাতে ধরা পড়ে গেলেন ২ অভিযুক্ত।
বনদপ্তর সূত্রে খবর, মাস চারেক আগে ইন্দো-নেপাল সীমান্ত এলাকায় একটি চিতাবাঘকে হত্যা করা হয়। পরিকল্পনা ছিল, চড়া দামে চিতাবাঘের চামড়া ও দেহাংশ বিক্রি করার। কিন্তু ভয় ছিল ধরা পড়ে যাওয়ারও। সেই কারণে শিকারের পর রংবাং নদীর চড়ে বাঘটিকে পুঁতে দেয় অভিযুক্তরা। এরপর থেকেই তারা তক্কেতক্কে ছিল সময়মতো মোটা টাকার বিনিময়ে চামড়া বিক্রির।
গোপন সূত্র মারফত অভিযুক্তদের সেই ফন্দি জানতে পেরে যান বনদপ্তরের আধিকারিকরা। অভিযুক্তদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে শুরু করেন বনদপ্তরের আধিকারিকরা। পরে মঙ্গলবার সকালে রংবাং বসতি থেকে চিতাবাঘের চামড়া-সহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সূত্রের খবর, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের একাধিক ধারায় ওই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। দোষ প্রমাণিত হলে তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে বনদপ্তরের তরফে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত প্রণেশ সুব্বা দার্জিলিংয়ের রামজি বসতির বাসিন্দা এবং অনন্ত তামাং রংবাংয়ের বাসিন্দা। প্রাথমিক তদন্তে অভিযুক্তদের অনুমান, দীর্ঘদিন ধরেই বেআইনি পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিল অভিযুক্তরা। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের সন্ধানে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পাচার রুখতে আন্তঃরাজ্য বনবিভাগের আধিকারিকদের যৌথ উদ্যোগ যে বেশ ফলপ্রসূ হচ্ছে, এই ঘটনাই ফের তার প্রমাণ বলে মনে করছে বিভিন্ন বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ সংস্থা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.