স্টাফ রিপোর্টার, কাটোয়া ও খড়্গপুর: ফের বাংলার মুখ উজ্জ্বল। সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রাস এগজামিনেশনের (মেনস) দ্বিতীয় পর্বের বাংলার কৃতী দুই পড়ুয়া। দু’জনেই ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। গোটা দেশে মোট ২৪ জন ১০০ শতাংশ পেয়েছেন। সেই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন কাটোয়ার দেবদত্তা মাজি ও খড়গপুরের অর্চিষ্মান নন্দী। দুই পড়ুয়ারার সাফল্যে সোশাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Congratulations to our Devdutta Majhi and Archisman Nandy, who have secured 100 percentile in JEE Mains, 2025. This put them in the topmost bracket in this prestigious country-wide examination.
It is also a pleasure for us that both of them secured top ranks in their respective… pic.twitter.com/otqYd6EfUR
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) April 20, 2025
দেবদত্তা মাধ্যমিকে ৭০০-র মধ্যে ৬৯৭ পেয়ে প্রথম হয়েছিলেন। কাটোয়ার দুর্গাদাসী চৌধুরানী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী দেবদত্তা ছাড়া অন্ধ্রের এক ছাত্রী মেনসের দ্বিতীয়ভাগে ১০০ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। বাংলা মাধ্যমের ছাত্রীর এই বিরল কৃতিত্বে গোটা রাজ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেলেও দেবদত্তা এই সাফল্যে ভেসে যেতে রাজি নন। অ্যাডভান্সে ভালো ফল করে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সেস-এ ভর্তির স্বপ্ন দেখছেন তিনি। তিনি মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চান।
খড়গপুর দু’নম্বর ব্লকের চাঙ্গুয়াল ব্লকের বারবেটিয়া এলাকার বাসিন্দা অর্চিষ্মান। খড়গপুর ডিএভি স্কুলের ছাত্র অর্চিষ্মান হতে চান কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ার। অর্চিষ্মানের বাড়ি থেকে খড়গপুর আইআইটির দূরত্ব খুব বেশি হলে মাত্র ৪ কিমি। সেখানেই পড়াশোনা করার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
অর্চিষ্মানেরও প্রাথমিক পাঠ বাংলা মাধ্যম দিয়ে। বেলদা সংলগ্ন সাউরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক স্তরে পড়াশোনা। পরবর্তীকালে মায়ের চাকরি সূত্রে খড়গপুর শহরের উপকণ্ঠে চাঙ্গুয়ালে চলে আসা। এখানে এসে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিলেন বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে। এখান থেকে মাধ্যমিক পাস করে পরে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হন খড়গপুর আইআইটি চত্বরে অবস্থিত ডিএভি মডেল স্কুলে। অর্চিষ্মান বলেন, “দাদুর কাছ থেকে খড়গপুর আইআইটির অনেক গল্প শুনেছি। সেই থেকেই আমার স্বপ্ন দেখা শুরু খড়গপুর আইআইটিতে পড়ার। আশা করছি এই স্বপ্ন পূরণ করতে পারব। কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়ার ইচ্ছে।’’
জানুয়ারিতে জয়েন্টের প্রথম দফার পরীক্ষা দিতে যাওয়ার আগে হাওড়া জেলার অঙ্কুরহাটিতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন অর্চিষ্মান। সেই অবস্থায় পরীক্ষা দিয়ে ৯৯.৯৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। এবার ছেলের সাফল্যে খুশি বাবা মিঠুন নন্দী ও মা অনিন্দিতা মাইতি নন্দী। বাবা পেশায় একটি ওষুধ কোম্পানির পদস্থ কর্মী। মা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মী।
কাটোয়ার বিদ্যাসাগর পল্লিতে থাকেন দেবদত্তা মাজি। তাঁদের আদি বাড়ি পুরুলিয়ার আড়ষায়। বাবা জয়ন্ত মাজি পেশায় অধ্যাপক। মা শেলি দাঁ (মাজি) কাটোয়ার দুর্গাদাসী চৌধুরানী উচ্চ বিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার শিক্ষিকা। ওই স্কুলেরই ছাত্রী দেবদত্তা। চলতি বছরে জয়েন্ট এন্ট্রাসের প্রথম পর্বের পরীক্ষায় তিনি রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে ছিলেন। মেনসের দ্বিতীয় পর্বে ১০০ শতাংশ পাওয়ার পর তেমন উচ্ছ্বাস নেই দেবদত্তাদের বাড়িতে। সংবাদ মাধ্যমের সামনে আসতেও তাঁরা নারাজ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.