রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: লাগাতার বৃষ্টিতে ভয়াবহ অবস্থা উত্তরবঙ্গের (North Bengal)। বেড়ে চলেছে সমস্ত নদীর জলস্তর। এই পরিস্থিতিতে এবার মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)। তোর্সা নদীর জলে ভেসে গেল দুই শিশুকন্যা। জলস্তর আচমকা বেড়ে যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।
গত দু-একদিন ধরেই খারাপ হয়েই চলেছে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি। তিস্তা, তোর্সা-সহ সমস্ত নদীই ফুঁসছে। এই অবস্থায় জয়গাঁর ছোট মেচিয়াবস্তি এলাকায় জলের তোড়ে তলিয়ে গেল দুই শিশু। জানা গিয়েছে, একই পরিবারের সদস্য ওই দুই শিশুকন্যা। ঘটনার সময় নদীর পাড়ে ছিল দু’জন। আচমকা জলস্ফীতিতে পা হড়কে নদীতে পড়ে যায়। আর জলে স্রোত থাকায় দু’ জনেই ভেসে যায়। গ্রামবাসীরা শিশু দুটিকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করলেও তাদের উদ্ধার করতে পারেনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন কালচিনির বিধায়ক প্রশান্ত বর্মন। ডাকা হয়েছে উদ্ধারকারী দলও। ডাকা হয়েছে উদ্ধারকারী দলকেও।
রাতভর বৃষ্টির জেরে তিস্তার পরিস্থিতিরও অবনতি হয়েছে। গৃহহীন বহু পরিবার। তিস্তা নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর সংরক্ষিত এলাকাতেও লাল সতর্কতা জারি করল প্রশাসন। জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন তিস্তার বিবেকানন্দ ও সারদা পল্লি এলাকা জলমগ্ন। তিস্তা নদী পাড়ের দক্ষিণ সুকান্তনগর গ্রামেও জল ঢুকে পড়েছে। নিজের বাড়ি ছেড়ে বাঁধে এসে আশ্রয় নেন বাসিন্দারা।
দার্জিলিংয়ের পরিস্থিতি ক্রমশই আরও খারাপ হচ্ছে। টানা বৃষ্টিতে (Rain) দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নেমেছে। তার ফলে গাড়ি চলাচল বন্ধ। রোহিণী রোড ধরে চলছে গাড়ি। ধোতরে, মানেভঞ্জন, রিমবিক, গোক, বিজনবাড়ি এলাকায় ফের নতুন করে ধস নেমেছে। বালাসন সেতুতেও ধরেছে ফাটল। বাতাসিয়া লুপের কাছে টয়ট্রেনের লাইনেও ধস নেমেছে। তার ফলে বন্ধ দার্জিলিংয়ের টয় ট্রেন পরিষেবা। বৃষ্টির জেরে মঙ্গলবারও বন্ধ ছিল টয় ট্রেন পরিষেবা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে ধস মেরামতির কাজ। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বলেন, ‘‘ছোট ছোট অনেক জায়গায় ধস নেমেছে। কয়েকটি বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। তবে দার্জিলিংয়ের দিকে রাস্তা খোলা রয়েছে।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.