শুভদীপ রায়নন্দী, শিলিগুড়ি: নির্ধারিত গন্তব্যে পঞ্চাশ হাজার টাকা পৌঁছে দিতে ১০ হাজার টাকা খরচ হয় পাচারকারীদের। কিন্তু ধরা পড়ার ভয় তো থেকেই যায়। তাই পুলিশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে টাকা গন্তব্যে পৌঁছে দিতে ব্যবহার করা হয় মহিলাদের। শনিবার রাতে টাকা-সহ পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত দুই মহিলাকে গ্রেপ্তার করার পরই প্রকাশ্যে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। চক্রের সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের খোঁজ শুরু হয়েছে তদন্ত।
জানা গিয়েছে, বহরমপুরের পাকুর থেকে নগদ টাকা-সহ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠে দুই মহিলা। গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রথম থেকেই তাদের উপর নজর রাখছিল রেলের গোয়েন্দা বিভাগ। ফলে এনজেপি স্টেশনে পৌঁছতেই ওই দুই মহিলার তল্লাশির চেষ্টা করে তদন্তকারীরা। সেই সময় তদন্তকারীদের চোখে ধুলো দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। মহিলা আরপিএফ কর্মীরা ওই দুই মহিলাকে ধরে ফেলে। সূত্রের খবর, ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় মোট ৪০ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা। এছাড়াও তাদের ব্যক্তিগত হেফাজত থেকে ৯ হাজার ২৪০ টাকা উদ্ধার হয়েছে।
জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, কোচবিহারের এক ব্যক্তিকে দেওয়ার জন্য টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। ধৃতদের থেকে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি সংলগ্ন বাগডোগরার এক ক্যাটেরিংয়ের ব্যবসায়ী তাদের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। আরপিএফ আধিকারিকদের অনুমান, মাদকজাত দ্রব্যের দাম হিসেবেই ওই টাকা কোচবিহারে পাঠানোর চেষ্টা করছিল পাচারকারীরা।
তদন্তকারী সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম পার্বতী হালদার ও কবিতা হালদার। দু’জনেই মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের লালগোলার ঠাকুরপাড়ার বাসিন্দা। তাদের থেকে জানা গিয়েছে, পুলিশের চোখে ধুলো দিতে অন্তর্বাসের ভিতর ও শাড়ির আড়ালে শরীরের সঙ্গে আঠা দিয়ে টাকা আটকে পাচারের চেষ্টা করছিল তারা। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই আরপিএফ কর্তৃপক্ষ পরবর্তী তদন্তের জন্য ধৃতদের আয়কর দপ্তরের হাতে তুলে দিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.